সংক্ষিপ্ত
- প্রবল বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের
- সারা রাজ্যে প্রায় ৩১৫টি ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে
- ২২ হাজার বন্যা পীড়িতদের এইসব ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে
- মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছেন
অবিরাম বৃষ্টিতে কেরলে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। কেরলের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিচ্ছে গত বছরে কেরলের বন্যার ভয়াবহতার কথা। প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৪ জনের। সারা রাজ্যে প্রায় ৩১৫টি ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রায় ২২ হাজার বন্যা পীড়িতদের এইসব ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদের তরফে আরও ১৩ ইউনিট ফোর্স পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ওয়ানাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী তাঁর নির্বাচনী এলাকার বন্যা পীড়িতদের সাহায্য করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালেই ওয়ানাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটে ঘটেছে। ভূমিধসের জেরে একটি মন্দির, মসজিদ এবং এস্টেট শ্রমিকদের কোয়ার্টার ভেঙে পড়ে গিয়েছে বলে খবর।
আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মৌসম ভবন। ইদুক্কি, মালাপ্পুরম, ওয়ানাড় এবং কোজিকোডে- এই চার জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী জেলা এবং সংলগ্ন কোল্লাম এলাকা ছাড়া বাকি ১২টি জেলা প্রবল বৃষ্টির জেরে কার্যত জলমগ্ন।
কেরল সরকারের তরফে রাজ্য জুড়ে সমস্ত স্কুলে শুক্রবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রের খবর কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জল জমে যাওয়ার কারণে রবিবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।