সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার থেকেই দেশের একাধিক এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

বর্ষার জন্য আর অপেক্ষা নয়, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দেশে প্রবেশ করবে বর্ষা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে মধ্য এবং উত্তর পশ্চিম ভারতে আগামী দু'দিন অতি সক্রিয় থাকবে মৌসুমী বায়ু। আগামী তিনদিন মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকবে পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলেও। আইএমডি (IMD) জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দূর্বল হয় গিয়েছিল নিম্নচাপ। সেই কারণে দেশে বর্ষা প্রবেশ করতে জুনের শেষ সপ্তাহ হয়ে গেল। তবে শুক্রবার থেকেই দেশের একাধিক এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

দেশের একাধিক অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। তালিকায় নাম রয়েছে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, হরিয়ানারও। দুর্যোগের সম্ভাবনা উত্তরাখণ্ডেও। আগামী দু'দিনের মধ্যেই বৃষ্টি মধ্যপ্রদেশেও। বৃষ্টি হতে পারে গোয়া, কোঙ্কন উপকূলেও। এছাড়া সিকিম, অসম, মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশে আগামী পাঁচদিন ধরে চলবে বৃষ্টি। প্রবল দুর্যোগের সম্ভাবনা বিহারেও।

অন্যদিকে উষ্ণ স্রোত 'এল নিনো'-এর প্রভাবেই দেশে বৃষ্টির পরিমান বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জুনমাসের শেষে দেশ জুড়ে চলবে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। ইতিমধ্যেই হলুদ এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশের একাধিক শহরে। আগামী চার-পাঁচ দিনে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব আরও বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন আগামী চারমাস বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশে। কিন্তু কেন এমন আবহাওয়া? উষ্ণ স্রোত এল নিনোর প্রভাবেই কি এই প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা? আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এল নিনোর প্রভাবে যে কেবল শুষ্ক আবহাওয়া হয় তা নয়। বরং এর প্রভাবে টানা বৃষ্টিও হতে পারে।

ভারতে কি এল নিনোর প্রভাবে তৈরি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি? এই প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এল নিনোর প্রভাবে কেবল উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হতে পারে তাই নয়, এর প্রভাবে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকে। এল নিনো কোথাও খরা আবার কোথাও বন্যা আনার ক্ষমতা রাখে।

কী এই 'এল নিনো'?

স্প্যানিশ শব্দ এল নিনো, যার অর্থ ছোট ছেলে। এল নিনো একটি উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোত। যার প্রভাবে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে একাধিক দেশের আবহাওয়ায়। ২০১৫ সালে প্রথম প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা মিলেছিল এই এল নিনোর। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ২০২৩ সালে ফের ফিরে আসতে সেই গরম স্রোত এল নিনো। যার ফলে জুলাই মাসে বর্ষার উপর পড়তে পারে বিরুপ প্রভাব।