সংক্ষিপ্ত

টানা দুবছর সংক্রমণের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হননি অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া গ্রামের এক মা ও মেয়ে। অবশেষে তাদের বাড়ি থেকে বের করতে ডাকতে হয় লোকাল পুলিশ।বর্তমানে ওই দুজনই স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

করোনার আতঙ্ক এতো ভয়ঙ্কর হতে পারে তা হয়তো জানাই যেত না এই ঘটনাটির কথা প্রকাশ্যে না এলে। ২০২০ র মার্চ থেকে যেন হঠাৎ করেই থমকে গেছিলো সারা বিশ্ব। আর তার প্রভাব পড়েছিল ভারতবর্ষের গ্রামে -শহরে , অলিতে গলিতে , আনাচে -কানাচে, প্রত্যেকটা জায়গায়। অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া গ্রামের এক মা মেয়ের, গল্পটা ঠিক এখন থেকেই শুরু। ভারতবর্ষের সব জায়গার মতো এখানেও জারি হয়েছিল কোরোনার সতর্কতাবার্তা। মিডিয়া থেকে অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম দর্শকদের সতর্ক করার নাম করে প্রতিটি জায়গায় এমন ভয় দেখানো শুরু হলো, যেন ভয়ই সংক্রমণ রোধের একমাত্র উপায়। এর ফল হলো মারাত্মক। দর্শকদের একাংশ চলে গেলো ট্রমায় , ডিপ্রেশনে। কাকিনারার এই মা- মেয়েও সেই অবসাদ গ্রস্তদের মধ্যেই দুজন।

টানা দুবছর সংক্রমণের ভয়ে তারা বের হননি বাড়ি থেকে। এমনকি বাড়িতে ঢুকতেও দেননি কাউকে। এই অদ্ভুত করোনাভীতি একসময় এমন চরমে পৌঁছয় যে ৪৬ বছরের মা ও ২১ বছরের মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করতে ডাকতে হয় লোকাল পুলিশ। নিজেকে চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি রাখার এই অভূত প্রবণতা থেকেই দুজনের ধরা পরে মানসিক রোগ। শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে দ্রুত। ওই মহিলার স্বামী অর্থাৎ ওই বাড়ির গৃহকর্তা বার বার তাদের বাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অবশেষে তাদের বাড়ি থেকে বের করতে তিনি খবর দেন লোকাল পুলিশে। ঘটনার তাৎপর্য্য বুঝতে পেরে পুলিশ দ্রুত পৌঁছয় তাদের বাড়ি। প্রথমে পুলিশকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি ওই মহিলা। পরে তার স্বামী তাকে আস্বস্ত করলে পুলিশ বাড়িতে ঢুকে তাদের উদ্ধার করে ওই পরিস্থিতি থেকে। বর্তমানে ওই দুজনই স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের শারীরিক রোগের সঙ্গে সঙ্গে , মানসিক রোগেরও চিকিৎসা চলছে সেখানে।