তিন জঙ্গিই ছিলেন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। বেশ কি কিছুদিন ধরেই তাদের সন্ধান চালাচ্ছিল। পুলওয়ামায় গা ঢাকা দিয়েছিল ওই তিন জঙ্গি, কিন্তু ধরা দেয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনী চেয়েছিল তারা আত্মসমর্পণ করুক।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে নিহত তিন জঙ্গি। শেষ মুহূর্তের মায়ের সাথে ভিডিও কল ভাইরাল। মৃত্যুর আগে শেষবার নিজের মায়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন এক জঙ্গি আমির নাজির ওয়ানি।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, কাশ্মীরের দক্ষিণ প্রান্তে পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা ওই তিন জঙ্গি, আমির নাজ়ির ওয়ানি, আসিফ আহমেদ শেখ এবং ইয়াওয়ার আহমদ ভাট। অবন্তীপোরার ত্রাল এলাকায় তাদের পথ করা যায়। ত্রালের নাদির গ্রামের একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল ওই তিন জঙ্গি। এরপরেই গোপন অভিযান চালিয়ে হামলা করা হয় ওই জঙ্গিদের উপর। বেশ খানিকক্ষণ গুলি চালানোর পর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতেই নিহত হন ওই তিন জঙ্গি।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে আরও খবর মেলে, যে ওই তিন জঙ্গিই ছিলেন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। বেশ কি কিছুদিন ধরেই তাদের সন্ধান চালাচ্ছিল। পুলওয়ামায় গা ঢাকা দিয়েছিল ওই তিন জঙ্গি, কিন্তু ধরা দেয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনী চেয়েছিল তারা আত্মসমর্পণ করুক।
ভারতীয় সেনার অভিযান চালানোর বেশ কয়েক ঘন্টা আগেই নাদীর গ্রামের ওই বাড়ি থেকে নিজের মাকে ভিডিও কল করেছিল আমির নাজ়ির ওয়ানি। ভিডিও কলে মা তাকে আত্মসমর্পণ করার কথা বার বার জানালেও, মায়ের কাতর আর্জিকে উপেক্ষা করে ছেলে। এছাড়াও আসিফ আহমেদ শেখের বোনের সঙ্গেও ওই ভিডিয়ো কলে কথা বলেছিল আমির। দাদার খোঁজও নেন আসিফের বোন।
‘‘সেনাবাহিনীকে আসতে দাও। আমরা তার পর দেখে নেব।’’ -এমনটাই বলেন ভিডিওকলে থাকা ওই জঙ্গি। ওপরপক্ষের অন্য কোনো ফোন থেকে ওই ভিডিকলের রেকর্ড করা হয়েছিল। সম্ভবত তার মা'ই করেছিলেন। এরপর ভাইরাল ওই রেকর্ডিং। রেকর্ডিংয়ে এও দেখা যায় হাতে AK47 বন্দুক ধরা ছিল।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জোন পর্যটকের মৃত্য হয়। তারপরেই জম্মু-কাশ্মীর ও সংলগ্ন এলাকায় ভীষণ তল্লাশি অভিযান চালায় ভারতীয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীরা। সেই সময় অনেক জঙ্গি ঘাঁটি ও তাদের বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় আইইডি বিস্ফোরণে। এর মধ্যে নিহত আসিফের বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই পলাতক ওই তিন নিহত জঙ্গি। এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিল তারা।
সারাংশ বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তাবাহিনীর গোপন অভিযানে মৃত্যু হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের তিন সক্রিয় সদস্যের।


