সংক্ষিপ্ত

ভেঙ্কাইয়া নায়ডুর দাবি, সাসপেন্ড হওয়ার পরও সাংসদদের কোনও অনুশোচনা নেই। তাই সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন তিনি। তিনি বলেন, "যে সব সদস্য রাজ্যসভাকে অপবিত্র করেছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও অনুতাপ নেই। সাসপেনশন প্রত্যাহার করার যে আর্জি বিরোধীরা জানিয়েছেন তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।" 

বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) সময় অসংসদীয় আচরণ (unruly behaviour) করেছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগে গতকাল ১২ জন সাংসদকে (12 MPs) সাসপেন্ড (Suspend) করা হয়। গোটা শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Session) জন্যই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ সকাল থেকেই উত্তাল রয়েছে সংসদের দুই কক্ষ রাজ্যসভা (Rajya Sabha) ও লোকসভা। এই সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নায়ডুর (M Venkaiah Naidu) দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। যদিও তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, ‘অধিবেশনে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। প্রস্তাবটি সংসদ দ্বারা বিবেচনা করে পাস হয়েছিল। আমি মনে করি না বিরোধীদের আবেদন বিবেচনার যোগ্য।’

ভেঙ্কাইয়া নায়ডুর দাবি, সাসপেন্ড হওয়ার পরও সাংসদদের কোনও অনুশোচনা নেই। তাই সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন তিনি। তিনি বলেন, "যে সব সদস্য রাজ্যসভাকে অপবিত্র করেছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও অনুতাপ নেই। সাসপেনশন প্রত্যাহার করার যে আর্জি বিরোধীরা জানিয়েছেন তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।" 

আরও পড়ুন- ১২ সাংসদের সাসপেনশন অব্যাহত রাখলেন নাইডু, ওয়াক আউট করে বিক্ষোভের পথে বিরোধীরা

১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। পাশাপাশি বাদল অধিবেশনের কথা বিরোধীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, "বাদল অধিবেশনের স্মৃতি এখনও আমাদের মনে রয়েছে। বাদল অধিবেশনে যা হয়েছিল, তাতে আমি আশা করেছিলাম সংসদের বর্ষীয়ান সাংসদরাই সরব হবেন। সেটা হলে আমাদের সংসদ চালানোর পক্ষে সহযোগিতা করা হত। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হয়নি।"

আজ ১৪টি বিরোধী দলের তরফে ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। সেই ১৪টি বিরোধী দলের মধ্যে ছিল না তৃণমূল। সকালে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে নাইডুর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস সহ বিরোধী নেতারা। তাঁদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। এদিকে আজ সকালেই সাসপেনশনের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া দুই সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen) ও শান্তা ছেত্রী (Santa Chetri)। এরপর সাসপেনশন তুলে না নেওয়ায় রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে বিরোধীরা। 

উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের কৃষি আইনি নিয়ে দীর্ঘতর সময় আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু, ওই ইস্যুতে আলোচনার জন্য কেন কম সময় দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। কেউ কালো কাপড় ওড়ান তো কেউ ফাইল ছুড়ে দিয়েছিলেন রাজ্যসভায়। অনেকে আবার টেবিলের উপর উঠে পড়েছিলেন। এমনকী বাদল অধিবেশনের শেষ দিন, ১১ অগস্ট পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। তার জেরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। সেই আচরণের জেরেই ওই ১২জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই সাসপেনশনের ফলে ওই ১২ জন সাংসদ গোটা শীতকালীন অধিবেশনেই আর অংশ নিতে পারবেন না।