সংক্ষিপ্ত
- বেতন বাড়ালেন না মুকেশ অম্বানী
- এবছরও বার্ষিক বেতন নেবেন ১৫ কোটি টাকা
- ২০০৮-০৯ থেকেই এই বেতন নিচ্ছেন তিনি
- সংস্থার অন্যান্য শীর্ষ কর্তাদের বেতন অবশ্য বেড়েছে
এই নিয়ে টানা এগারো বছর। না, এবারেও বেতন বাড়ালেন না মুকেশ অম্বানী। এ বছরটাও পনেরো কোটি টাকাই বেতন নিচ্ছেন তিনি! হ্যাঁ, মাত্র পনেরো কোটিতেই সন্তুষ্ট মুকেশ।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষ থেকেই বার্ষিক ১৫ কোটি টাকা বেতন নিচ্ছেন মুকেশ। অথচ নিয়ম মেনে বেতন বৃদ্ধি হলে রিলায়েন্সে মুকেশ অম্বানীর বেতন হওয়া উচিত ছিল বছরে ২৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- ১০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, অনশনরত শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ালেন শঙ্খ ঘোষ
সংস্থার তরফে বার্ষিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সংস্থা উচ্চ পদাধিকারীদের বেতন কাঠামোয় সামঞ্জস্য রাখতেই উদাহরণস্বরূপ নিজের বেতন বৃদ্ধির পথে হাঁটেননি মুকেশ। বর্তমান বেতন কাঠামো অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে মূল বেতন এবং ভাতা হিসেবে বার্ষিক ৪ কোটি ৪৫ লক্ষ্য টাকা পান মুকেশ। কমিশন হিসেবে ৯ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা পেয়েছেন তিনি। অন্যান্য সুযোগ- সুবিধা বাবদ সংস্থা থেকে ৩১ লক্ষ টাকা পেয়েছেন তিনি। অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা বাবদ ৭১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন- নীতা একটি শর্তেই অম্বানীকে বিয়ে করতে রাজি হন! দুজনের প্রেমে ছিল ভরপুর নাটকীয়তা
তবে মুকেশের বেতন না বাড়লেও সংস্থার অন্য দুই ডিরেক্টর নিখিল এবং হিতল মেসওয়ানির বেতন একধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দু' জনেরই বার্ষিক বেতন বেড়ে হয়েছে ২০ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। তার আগের বছর যা ছিল ১৯ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। রিলায়েন্সর অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের বেতনও ভাল পরিমাণেই বেড়েছে।
মুকেশ অম্বানীর স্ত্রী নীতা অম্বানীর পারিশ্রমিকও গত অর্থবর্ষে বেড়েছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির নন- এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে বার্ষিক ৭ লক্ষ টাকা পেয়েছেন নীতা অম্বানী। তার আগের বছর যা ছিল ৬ লক্ষ টাকা।