সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এবার হোলি খেলছেন না অনেকে
- কোরনার কারণে মার খেয়েছে হোলির বাজার
- হোলিকা দহনে এবার তাই হাজির করোনাসুর
- হোলিকাসুরের জায়গায় এবার জ্বলল করোনাসুরের কুশপুতুল
উত্তর ভারত ও মুম্বইতে হোলিকে ঘিরে মেতে থাকেন সকলে। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে রঙের উৎসবে ছেদ পড়েছে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসরা। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এবছর হোলির হোলির অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে আগেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই পথে হেঁটেছেন। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষও হোলি খেলা এড়িয়ে চলেছেন। তাই এবারের রঙের উৎসবে একেবারে ভিলেন হিসাবে হাজির করোনাসুর।
আরও পড়ুন: চেয়ার নিয়ে জেডিইউ কন্যার মেয়ের চ্যালেঞ্জ, চাপে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার
দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পুরো পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কারও শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাঁকে আলাদা পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এই অবস্থায় এবার মানুষ যাতে হোলির অনুষ্ঠানে অংশ না নেন কেন্দ্রের তরফে এমনই প্রচার চালান হচ্ছে। পরিস্থিতি যা তাতে রঙের উৎসব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন অধিকাংশ মানুষই। ফলে এবার হোলির বাজার বড়রকম মার খেয়েছে। তাই এবার হোলিকা দহনে করোনা ভাইরসাকেই ওষুর আকারে তুলে ধরেছে মুম্বইয়ের একটি সংগঠন।
আরও পড়ুন: নজির স্থাপন করলেন শতায়ু বৃদ্ধ, করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরলনে সুস্থ হয়ে
উত্তরভারত ও মুম্বইতে হোলিকা দহন উৎসব অসুরা হোলিকাকে পোড়ানোর মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। প্রহ্লাদকে বাঁচাতে হোলিকাকে বধ করেছিলেন ভগবান বিষ্ণু। সেই ঐতিহ্য মেনে আজও গোলির আগের দিন হয় হোলিকাদহন । বাংলায় যা ন্যাড়া পোড়া সেটাই দেশের অন্য প্রান্তে হোলিকা দহন হিসাবে বিখ্যাত।
মুম্বইয়ের ওয়ার্লিতে এবার হোলিকাসুরের জায়গায় তৈরি করা হয়েছে করোনাসুর। যাতে আবার লেখা রয়েছে কোভিড-১৯। করোনাসুরের হাতে আবার রয়েছে একটি স্যুটকেস। যাতে লেখা রয়েছে আর্থিক মন্দার কথা। এই করোনাসুরকেই এবার হোলিকা দহনে জ্বালাল মুম্বইবাসী।
বর্তমানে বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতেও বাড়ছে করোনা আক্রাস্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে এদেশের ৪৩ জনের শরীরে এই মারণ ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কেরলে নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে ৩ বছরের একটি শিশুও। সম্প্রতি ইতালি থেকে এদেশে ফেরে শিশুটি।