সংক্ষিপ্ত

 হায়দরাবাদের খয়রাতাবাদ এলাকার একটি মণ্ডপে ঢুকে আচমকাই দূর্গামূর্তি ভাঙচুর করতে থাকেন দুজন বোরখা পরিহিত মহিলা। তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্থানীয় এক ব্যক্তিও। এই ঘটনায় রীতিমত স্তম্ভিত এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে খবর, মণ্ডপে ঢুকে আচমকাই ভাঙচুর শুরু করে দেয় ওই দুই মহিলা। তাঁদের থামাতে গেলে স্থানীয় এক ব্যক্তির উপরও ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় তাঁরা।
 

হায়দরাবাদে দূর্গা মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার দুই মুসলমান মহিলা মানসিকভাবে অসুস্থ, জানাল হায়দরাবাদ পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনার নেপথ্যে যে কোনও সাম্প্রদায়ীক বা রাজনৈতিক রং নেই সেই বিষয়ও স্পষ্ট করা হয়েছে পুলিশের তরফে। 

হায়দরাবাদের খয়রাতাবাদ এলাকার একটি মণ্ডপে ঢুকে আচমকাই দূর্গামূর্তি ভাঙচুর করতে থাকেন দুজন বোরখা পরিহিত মহিলা। তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্থানীয় এক ব্যক্তিও। এই ঘটনায় রীতিমত স্তম্ভিত এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে খবর, মণ্ডপে ঢুকে আচমকাই ভাঙচুর শুরু করে দেয় ওই দুই মহিলা। তাঁদের থামাতে গেলে স্থানীয় এক ব্যক্তির উপরও ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় তাঁরা। খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয় অভিযুক্ত দুই মহিলাকে। 

যদিও অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানায় মানসিকভাবে সুস্থ নন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৮ সালে জেদ্দা থেকে ফেরার পর থেকেই একের পর এক মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তাঁদের। গোটা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযুক্ত মহিলার ভাই আসিমউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, "আমার মা ও বোন স্কিজোফেনিয়ায় আক্রান্ত। এর জন্য চিকিৎসাও করাচ্ছেন তাঁরা। আমি এখনও আমার বোনের সঙ্গে দেখা করিনি কিন্তু আমি গোটা বিষয়টা শুনেছি। আর শোনামাত্রই এখানে ছুটে এসেছি।" 

ডিসিপি সেন্ট্রাল জোন, হায়দ্রাবাদ, রাজেশ জানান, "অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দু'জনের বয়ান রেকর্ড করে আদালতে পেশ করা হবে। তবে দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ডাক্তারের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা গিয়েছে দুই অভিযুক্তই মানসিকভাবে সুস্থ নন। তাঁদের নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।" পাশাপাশি গোটা ঘটনাকে যেন কোনও সাম্প্রদায়ীক ঘটনা হিসেবে না তুলে ধরা হয় তাঁরও আর্জি জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।