সংক্ষিপ্ত

বৈঠক সম্পর্কে কুরেশি বলেন, আধ ঘণ্টার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। কিন্তু প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথাবার্তা চলে। তিনি আমাদের সাথে খুব আদর করে কথা বলতেন। খুব শান্ত হয় তিনি খুব ভালো শ্রোতা, প্রত্যেকের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন। প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন যে ভাগবত বলেন সব ধর্মই আমাদের আদর্শের সাথে খাপ খায়। 

প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশির মুখোমুখি এশিয়ানেট নিউজ। এশিয়ানেট নিউজ ডায়ালগে কুরেশির সামনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেন এশিয়ানেটের প্রতিনিধি প্রশান্ত রঘুবংশম। প্রথমেই উঠে আসে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে কুরেশির বৈঠকের কথা। তিনি বলেন, আমরা সময় চেয়েছিলাম। আমরা ২২শে আগস্ট দেখা করেছি। আমরা একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলাম। প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন যে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর উদ্বেগ নিয়ে ভাগবতও তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে পারস্পরিক ভালবাসা দিয়েই দেশ এগিয়ে যেতে পারে।

বৈঠক সম্পর্কে কুরেশি বলেন, আধ ঘণ্টার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। কিন্তু প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথাবার্তা চলে। তিনি আমাদের সাথে খুব আদর করে কথা বলতেন। খুব শান্ত হয় তিনি খুব ভালো শ্রোতা, প্রত্যেকের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন। প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন যে ভাগবত বলেন সব ধর্মই আমাদের আদর্শের সাথে খাপ খায়। আমরা কাউকে আলাদা মনে করা হয় না। প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ ধর্মকে সঠিকভাবে পালন করা। 

প্রাক্তন নির্বাচন কর্মকর্তা এদিন তাঁর সঙ্গে ভাগবতের বৈঠক নিয়ে চলা সাম্প্রতিক বিতর্ককে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন কোনও সংগঠন, সম্প্রদায় বা সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিত্ব তাঁরা করছিলেন না। তাই তাঁদের এই বৈঠকের প্রভাব ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পড়া বা কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করার প্রশ্নই নেই।  

কুরেশি জানান, দেশের সম্প্রীতি ও ঐক্যে কথা মাথায় রেখে স্বেচ্ছায় মুসলিমরা গোমাংস ত্যাগ করতেই পারেন। কারণ গরু একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায় অর্থাৎ হিন্দুদের ভাবাবেগের বিষয়। দেশের শান্তির কথা বিবেচনা করে তাঁরা এই উদ্যোগ নিতে পারেন। 

তিনি জানান, ভাগবত বলেছেন, ‘অসংহতির পরিবেশ নিয়ে আমি খুশি নই। এটা সম্পূর্ণ ভুল। সহযোগিতা এবং সংহতির সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে দেশ।’
কুরেশি জানান, আরএসএস প্রধান মূলত দুটি বিষয় নিয়ে চিন্তিত। তার একটি হল গোহত্যা যা হিন্দুদের মর্মাহত করে। মুসলিম বুদ্ধিজীবীটি বলেন, ‘আমরা বলেছি, এটা (গোহত্যা) বাস্তবে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ। মুসলিমরা আইন মেনে চলে এবং যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করে তবে তা বড় ভুল, তার শাস্তি হওয়া উচিত।’

আর একটি বিষয় নিয়ে আপত্তি মোহন ভাগবতের, তা হল ‘কাফির’ শব্দের ব্যবহার। এই শব্দ হিন্দুদের খারাপ লেগেছে বলে জানান তিনি। এর উত্তরে কুরেশি জানিয়েছেন, ‘মূল আরবীয় শব্দ কাফিরের অর্থ নাস্তিক। কিছু মানুষ ইসলামে বিশ্বাস করে, তারা মোমিন। অবিশ্বাসীরা কাফির। এই শব্দটা নিরপেক্ষ ছিল, এখন অবমাননাকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা বলা বন্ধ করতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।’