সংক্ষিপ্ত

'ওঁরা প্রায় তিন দশক ধরে কারাগারে, যথেষ্ট সাজা ভোগও করেছেন। মানবিকতার খাতিরেই ওঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।'  'যাঁরা তাঁদের মুক্তির বিরোধিতা করছে তাঁদের ভারতের আইনকে সম্মান করা উচিত।'

শেষ হল তিন দশকের বন্দি জীবন। ৩১ বছর পর মুক্তি পেলেন নলিণী-সহ রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তরা। গতকালই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছয় হত্যাকারীর মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের রায়ের একদিনের মাথায় মুক্তি পেলেন নলিনী শ্রীহরন-সহ বাকিরা। শনিবার সন্ধ্যায় ভেলোর কারাগারে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তিনি। এরপরই মুক্তি দেওয়া হয় তাঁদের। শর্ত অনুযায়ী স্থানীয় থানায়ও গিয়েছিলেন নলীণি। গত মে মাসের মুক্তি পেয়েছিলেন রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার আর এক আসামী পেরারিভালান। তারপরই শীর্ষ আদালতের কাছে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন নলিণীরা। অবশেষে গত ১১ নভেম্বর তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত।

আদালতের রায়ের প্রসংশা করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে নলিণী শ্রীহরণের ভাই বাকিয়ানাথন বলেছেন, 'ওঁরা প্রায় তিন দশক ধরে কারাগারে, যথেষ্ট সাজা ভোগও করেছেন। মানবিকতার খাতিরেই ওঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।' তিনি আরও বলেন 'যাঁরা তাঁদের মুক্তির বিরোধিতা করছে তাঁদের ভারতের আইনকে সম্মান করা উচিত।'

শুক্তবারই নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমারের মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগেই গত মে মাসে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন এই মামলার আর এক সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালন। তার ছ'মাসের মাথায় বাকি সাতজনেরও মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ শোনার পর নলিনীর কন্ঠে উঠে আসে,'আমি জঙ্গি নই।'

সময়টা ১৯৯১ সালের ২১ মে। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী সভায় যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সেই সভাতেই আত্মঘাতী বোমবিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। তদন্তে উঠে আসে শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই-র নাম। জানা যায় এই গোষ্ঠীর ধানু নামের এক মহিলা জঙ্গি নিজেকে বোমার সঙ্গে বেঁধে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হন সাতজন। নাম উঠে আসে নলিনী নামের এক মহিলারও। সাতজনেরই মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করা হয়। অবশেষে মৃত্যুদণ্ডের পরির্বতে যাবজ্জীন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

অন্যদিকে আদালতের রায়ের তীব্র বিরোধিতা করল কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীর দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধীতা করে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মানু সিংভি বলেন, 'আমরা আমাদের অবস্থানে অবিচল। এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার সঙ্গে একটি জাতির সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও পরিচয় জড়িত।' তিনি আরও সংযোজন করেন, 'একটি জাতির সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বৃহত্তর ইস্যুটি কি বিবেচনায় করা হয়েছে?' অপর এক কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, 'প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর খুনিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। দল এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছে।'

শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মুক্তি পাচ্ছেন নলিনী-সহ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তরা। শুক্তবারই নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমারের মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগেই গত মে মাসে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন এই মামলার আর এক সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালন। তার ছ'মাসের মাথায় বাকি সাতজনেরও মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ শোনার পর নলিনীর কন্ঠে উঠে আসে,'আমি জঙ্গি নই।'

আরও পড়ুন - 

'মেনে নেওয়া যায় না,' নলিণী-সহ রাজীব গান্ধীর ছয় হত্যাকারীর মুক্তির নির্দেশের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস

'প্রত্যেক দিন ২-৩ কিলো গালি হজম করি, ভগবান তেমনই আশীর্বাদ করেছেন' - তেলাঙ্গনায় বললেন মোদী

গুজরাট নির্বাচনে ১২৫টি আসন পাবে কংগ্রেস, দলীয় ইস্তেহারে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি