সংক্ষিপ্ত
তেলাঙ্গনায় মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-কে রীতিমত চড়া সুরেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, প্রত্যেকদিন তাঁকে দুই থেকে তিন কিলো গালি দেওয়া হয়।
দুই দিনের দাক্ষিণাত্য সফরের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তেলাঙ্গনার একটি জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। শনিবার একটি জনসভা থেকেই তিনি তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রেশখর রাওকে রীতিমত কটাক্ষ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর নাম না নিয়েই রীতিমত কটাক্ষ করেন। বলেন রাজ্যের মানুষ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন চায়। বংশবাদী রাজনীতি চায়না।
মোদীর বলেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজন হল জনগণ আগে। পরিবার পরে। রাজ্যের শাসনক্ষমতায় এমন মানুষ রয়েছেন যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বংশবাদীর অভিযোগ রয়েছে। তারপরই তিনি বলেন তিনি দিনভর কঠোর পরিশ্রম করেও ক্লান্ত হন না। কারণ প্রত্যেকদিন তিনি কম করে দুই-তিন কিলো গালি বা গালাগালি খান। তিনি আরও বলেন, ভগবান কাঁকে এমনভাবে তৈরি করেছে সেই সব গালিই তাঁর শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে পুষ্টিতে রূপান্তরিত হয়।
মোদী বলেন, 'মোদীকে গালি দাও, বিজেপিকে গালি দাও, কিন্তু তুমি যদি তেলাঙ্গনার মানুষকে গালি দাও তাহলে তোমাকে চরম মূল্য চোকাতে হবে।' এরপরই তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের সচেতন করে দিয়ে বলেন, সবকিছুর ছাপিয়ে গিয়ে ভয় মুক্ত হয়ে লড়াই করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, তেলাঙ্গনায় পদ্ম ফোটাতেই হবে বলে বার্তা দিয়েছেন। তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, এই রাজ্যে অনেকেই মোদীকে গালি দেবে। কিন্তু তাতে গুরুত্ব না দিয়েই কাজ করে যেতে হবে। কৌশল করে সেইসব এড়িয়ে যেতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তেলাঙ্গনা সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে ইচ্ছেকৃতভাবে ও কুসংস্কারের জন্য বাধা দেওয়ার অভিযোগও তোলেন। তিনি আরও বলেন কুসংস্কারের ওপর ভিত্তি করে কেসিআর প্রশাসন চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, কাকে মন্ত্রী করা হবে, কোথায় থাকবেন, কোথায় অফিস করবেন- এই সব সিদ্ধান্তের পিছনে কুসংস্কার কাজ করে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন কেসিআর-এর এই কাজে বাধা পায় সামাজিক ন্যায় বিচার।
মোদী বলেন তেলাঙ্গনা তথ্য প্রযুক্তির একটি কেন্দ্র। কিন্তু আধুনিক এই রাজ্যে কুসংস্কারের প্রচার চলছে জোর কদমে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন তেলাঙ্গনাকে উন্নত রাজ্য করার জন্য কুসংস্কার ত্যাগ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন বিরোধী দলগুলিকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিরোধীদের দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করছে। আর সেই কারণেই বিরোধী দলগুলি জোট বাঁধার চেষ্টা করছে। তাঁর সরকার ডিজিটাল লেনদেন , অনলাইন পরিষেবা চালু করার দুর্নীতি অনেকটাই কম গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মোদী বলেন অনলাইন পেমেন্ট হলে দুর্নীতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। সরকার ও জনগণের মধ্যে সরসারি যোগাযোগ তৈরি হয়।
আরও পড়ুনঃ
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য, ঘরে-বাইরে চাপে পড়ে অখিল গিরি বললেন 'রাগের বশে এমন কথা'
কোভিড স্মৃতি হারিয়ে যাচ্ছে-মাস্ক বাতিলের খাতায়, কিন্তু ভাইরাস বিদায় নেয়নি , বললেন বিশেষজ্ঞরা
শিবলিঙ্গের নিরাপত্তা বজায় থাকব,জ্ঞানবাপি মামলায় রায় সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চের