সংক্ষিপ্ত

লোকসভা ভোটের আগেই এই দেশে চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি। দাবি বিশ্বহিন্দু পরিষদ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার।

 

নাগরিক সংশোধন আইন এখনও লাগু হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে আবারও বোমা ফাটালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বর্ষীয়ান নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া। তিনি বলেছেন ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগেই এই দেশে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনবেন। পাশাপাশি ভারতের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে তিনি টিকিং টাইম বোমার সঙ্গেও তুলনা করেছেন।

রবিবার ছত্তিশগড়ের মহাসমুন্দ জেলায় একটি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি অভিন্ন দেওয়া বিধি আর জনসংখ্যা নিয়ন্তণ আইন লাগু করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। আন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদের নেতাকে জনসভায় আগেই ছত্তিশগড়ের রায়পুরে সাংবাদিকরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। সেই সময়ই তিনি বলেন দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা একটি টাইম বোমা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি আরও বলেন এটি যখন বিস্ফোরিত হবে তখন শহর আর গ্রামে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হবে। এই ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই জন্যই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন লাগু করারও প্রয়োজন রয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন লাগু করবে।

প্রবীণ তোগাড়িয়া আরও বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি নরেন্দ্রভাই মোদী ও অমিতভাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, অভিন্ন দেওয়ানিবিধি লাগু করে ২০২৪ সালের নির্বাচনের যাবেন।' এখানেই শেষ নয়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা আরও বলেন তিনি মনে করেন কাশী ও মথুরায় মন্দির নির্মাণেরও আইন লোকসভা নির্বাচনের আগে লাগু করা হবে। এই পদক্ষেপগুলি শুধু হিন্দুদেরই নয় বিজেপিরও ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করবে বলেও মনে করেন তিনি।

প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেন, ভারতকে ইতিমধ্যেই একটি হিন্দুরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করচতে চেয়েছিলেন তাঁরা। হিন্দু রাজনৈতিক রাষ্ট্রের দাবি দীর্ঘদিনের। তিনি আরও বলেন, ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট দেশ। আর সেই কারণে ভারতের কোথাও যাতে হিন্দুদের নিরাপত্তাহীনতা বোধ করতে দিতে রাজি নন তাঁরা। তার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ জরুরি বলেও জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা। 

আরও পড়ুনঃ

সপ্তাহের প্রথমই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হাওয়া অফিসের, ফেব্রুয়ারি থেকে গরমের পূর্বাভাস

গর্ভনিরোধক বিক্রি নিষিদ্ধ,আফগান মহিলাদের অধিকারে সর্বেশষ হস্তক্ষেপ তালিবানদের

দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান, শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে মেনে নিলেন পাক-মন্ত্রী