সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী বলেন গোটা দেশ জুড়ে কেউ খালি পেটে ঘুমোতে যাবে না। কেন্দ্র এই যোজনার মাধ্যমে চেষ্টা করছে সব স্তরের মানুষের কাছে খাদ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার (Pradhan Mantri Garib Kalyan Anna Yojana) বা PM-GKAY -এর উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গুজরাটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন গোটা দেশ জুড়ে কেউ খালি পেটে ঘুমোতে যাবে না। কেন্দ্র এই যোজনার মাধ্যমে চেষ্টা করছে সব স্তরের মানুষের কাছে খাদ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। করোনা আবহে যাতে কেউ না খেয়ে থাকে, তার ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর দফতর পিএমও থেকে এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে ২০২০ সালে ৯৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন শষ্য এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। করোনা পরিস্থিতিতে ২.৮৪ লক্ষ কোটি টাকার খাদ্য ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন স্বাধীনতার পর থেকে, প্রায় প্রতিটি সরকার দরিদ্রদের সস্তা খাবার দেওয়ার কথা বলেছিল। খাদ্য সঞ্চয় বাড়তে শুরু করেছে, কিন্তু অনাহার এবং অপুষ্টি সেই অনুপাতে কমেনি। এর পিছনে একটি প্রধান কারণ ছিল কার্যকরী সরবরাহ ব্যবস্থার অভাব।
মোদী আরও বলেন, বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি কেজি গম ২টাকা ও চাল প্রতি কেজি ৩ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক উপভোক্তা ৫ কেজি করে চাল ও গম পাচ্ছেন। এই ব্যবস্থা দিওয়ালি পর্যন্ত চলবে। গুজরাটে এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন ৩.৫ কোটি মানুষ। গত বছর ভারতে যখন লকডাউন চলছিল, সেই সময়ই দরিদ্রদের খাদ্যশস্য সরবরাহ করতে 'প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা'র ঘোষণা করা হয়েছিল। বিপদের দিনে গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরে দিওয়ালি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কী, সবার সামনে ফাঁস করে দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর
FIH rankings : দারুণ সাফল্য, বিশ্ব হকি ব়্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বরে উঠে এল ভারতীয় পুরুষ হকি টিম
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়ে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা দিওয়ালি অবধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি জানান, এই সঙ্কটের সময়ে দরিদ্রদের সঙ্গে রয়েছে তাঁর সরকার। আর সেই কারণেই নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে বিনামূল্যে নির্ধারিত পরিমাণ খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে ৮০০ মিলিয়ন বা ৮০ কোটিরও বেশি নাগরিকের মধ্যে। করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গের মোকাবিলা করছে দেশ। এই সময় দরিদ্রদের যাতে পুষ্টির অভাব না হয়, সেই দিকে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।