সংক্ষিপ্ত
৪৫ ঘণ্টা ধ্যানের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মূলত উপবাসে থাকবেন, তবে নির্জলা উপবাস নয়। এই সময় তিনি মূলত তরল জাতীয় খাবার খাবেন।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে টানা ৪৫ ঘণ্টার জন্য ধ্যানে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর বিখ্যাত বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ১ জুন বিকেল পর্যন্ত ধ্যান করবেন তিনি। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় নরেন্দ্র মোদী কী কী খাবেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে সূত্রের মারফত জানা গিয়েছে টানা ৪৫ ঘণ্টা ধ্যানের সময় তাঁর ডায়েট।
সূত্রের মারফত জানা গিয়েছে ৪৫ ঘণ্টা ধ্যানের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মূলত উপবাসে থাকবেন, তবে নির্জলা উপবাস নয়। এই সময় তিনি মূলত তরল জাতীয় খাবার খাবেন। মূলত নারকেলের জল, আঙুরের রস আর নানা ধরনের সরবত তিনি খাবেন। বৃহস্পতিবার ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে ধ্যানে বসেথেন তিনি। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী এই সময়টা নীরবেই থাকবেন। ধ্যানের সময় হলে ধ্যনহলে ধ্য়ান করবেন।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের একদম শেষ পর্বে মোদীর এই আধ্যাত্মিক যাত্রার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ। কারণ এখানে আজ থেকে ১৩১ বছর আগে ধ্যান করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। কন্যাকুমারিতে পৌঁছেই মোদী প্রথম ভগবতী আম্মার মন্দিরে যান সেখানে প্রার্থনা করেন।
এদিন মোদীর পরনে ছিল তামিল পোশাক। যা তামিলনাড়ুর মানুষের আবেগকে ছুঁয়ে গিয়েছে। দক্ষিণী কায়দায় একটি সাদা ধুতি পরেছেন। আর সাদা শাল ব্যবহার করেছেন। এদিন তিনি মন্দিরের গর্ভগৃহ প্রদর্শন করেন।
কন্যাকুমারী ভারতীয়দের জীবনদর্শনে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কথিত রয়েছে কন্যাকুমারীর একটি শিলায় বলে স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশ সফরের আগে ধ্য়ান করেছিলেন। সেখানেই তিনি ঈশ্বরের সন্ধান পেয়েছিল। যা তাঁকে উদ্ভুদ্ধ করেছিল শিকাগোর ধর্মমহাসভায় হিন্দু ধর্ম নিয়ে বক্তৃতা করবে। প্রাচীন বিশ্বাস একটি শিলা স্বামী বিবেকানন্দের জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছিল। বিশ্বাস করা হয় যে সারনাথ যেমন গৌতম বুদ্ধের জীবনে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তেমনই বিবেকানন্দের জীবনেই গুরুত্বপূর্ণ কন্যাকুমারী। তিনি ভারত ভ্রমণের পরে কন্যাকুমারীর একটি শিলায় ধ্যান করেছিলেন। টানা তিন দিন ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। তারপরই তিনি উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখতে পেয়েছিলেন। পাশাপাশি তাঁকে কি করতে হবে তারও নির্দেশ পেয়েছিলেন।
এবার সেই একই জায়গায় ধ্যান করে স্বামীজির বিকশিত ভারতের স্বপ্নকে সার্থক জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। তিনিও স্বামীজির মতই একই স্থানে ধ্যান করছেন ৪৫ ঘণ্টা। অনেকে অবার মনে করেন দেবী পার্বতীও কন্যাকুমারীর এই একটি শিলায় এক পায়ে দাঁড়িয়ে ধ্যান করেছিলেন ভগবান শিবকে পাওয়ার জন্য।