সংক্ষিপ্ত

বারাণসী ভোট কেন্দ্রে মূল দায়িত্বে রয়েছেন অমিত শাহ। এছাড়াও বারাণসীতে রয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, গিরিরাজ সিং, সুনীল বনসাল।

 

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্ব শেষ হতেই নরেন্দ্র মোদী আধ্যাত্মিক যাত্রায় মন দিয়েছেন। তিনি কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক-এ টানা ৪৫ ঘণ্টা ধ্যান করছেন। তবে আগামিকাল , ১ জুন শনিবার তাঁর কেন্দ্রে বারাণসীতে ভোট গ্রহণ। মোদীর অনুপস্থিতিতে তাঁর গড় রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁর সঙ্গে থেকে আস্থাভাজন সহকর্মী কথা মোদী সরকারে নম্বর টু অমিত শাহ। বারাণসীতে ঘাঁটি তৈরি করে রয়েছেন বিজেপির আরও শীর্ষ নেতৃত্বরা।

বারাণসী ভোট কেন্দ্রে মূল দায়িত্বে রয়েছেন অমিত শাহ। এছাড়াও বারাণসীতে রয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, গিরিরাজ সিং, সুনীল বনসাল। বারাণসীতে রয়েছেন আরএসএস-এর শীর্ষস্থানীয় নেতা ও কর্মীরাও। তাঁরা ভোট কেন্দ্র, এজেন্টসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি দেখভাল করছেন।

কন্যাকুমারীতে ৪৫ ঘণ্টা ধ্যানে কী নির্জলা উপবাসে থাকবেন নরেন্দ্র মোদী? রইল তাঁর ডায়েট

বারাণসী কেন্দ্রে ১৯.৬২ লক্ষ ভোটার রয়েছে। গত দুই বছর এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জয়ী হয়েছিলেন। এবারও তিনি প্রার্থী। ভোট গ্রহণ ১ জুন, শনিবার। এবারও বিজেপি জিতবে বলে আশাবাদী দলের নেতারা। তারপরেও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা কোনও রকম গাফিলতি করতে চান না। যদিও অমিত শাহ বলেছেন, বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও লড়াই নেই। তাঁর জেতার পথ পুরোপুরি মসৃণ। গত কয়েক দিনের বারাণসী কেন্দ্রের প্রচারের দায়িত্বও ছিল অমিত শাহের ওপর। তিনি বলেছেন, কোনও লজ়াই না থাকায় প্রচারে তেমন জোর দেওয়া হয়নি। বারাণসীতে বিজেপি নেতা কর্মীদের একমাত্র লক্ষ্যই হল জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে যাওয়া।

শেষদফা ভোটে ঝড়বৃষ্টি অশনি সংকেত, রইল ৯ কেন্দ্রে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদীর মূল প্রতিপক্ষ কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই। যদিও এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে তেমন কোনও তৎপরতা নেই। এর আগের নির্বাচনেও অজয় রাই মোদীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। যদিও এবার কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির মধ্যে জোট হয়েছে। যদিও কংগ্রেস নেতাদের কথায় অজয় রাই জিতবেন না একথা প্রায় নিশ্চিত। তবে বিজেপির জয়ের ব্যবধান কমবেই। ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমাজবাদী পার্টির শালিনী যাদবকে ৪.৭৯ লক্ষ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।