সংক্ষিপ্ত

  • সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে পাকিস্তানকেই
  • সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলাই প্রধান লক্ষ্য
  • দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা শুরুর জন্য কোনও ভুমিকাই পালন করেনি পাকিস্তান
  • তাই নিজের অবস্থানেই অনড় থাকবে ভারত

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-এর কথোপকথনে উঠে এল একাধিক বিষয়। প্রথমত, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষেই কড়া বার্তা দেন নমো। তিনি বলেন সন্ত্রাসবাদ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে পাকিস্তানকেই। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন-এর সামিটে এই বার্তাই দিলেন নরেন্দ্র মোদী। 

তিনি আরও বলেন যে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভাল করার জন্য বহুবার চেষ্টা করেছেন মোদী কিন্তু তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যে ভাল রয়েছে, সেকথা উঠে আসে তাঁর কথায়। 

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধান ইস্যুতে কোনও বৈঠক হবে না। প্রসঙ্গত এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের ইচ্ছা প্রকাশ করে আলোচনার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চিঠি পাঠিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীকে। মোদী তো তাঁর উত্তর দেননি, বরং মলদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বারবার তোপ দেগেছেন মোদী। 

পশ্চিমবঙ্গ গুজরাট হয়েই গিয়েছে, কাল অযোধ্যা কিংবা বারাণসীতে হবে, মন্তব্য শিব সেনার

SCO-এর সামিটের পর একান্ত বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট এদিন মোদীকে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরুর কথা বললে, মোদী বুঝিয়ে দেন যে, দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা শুরুর জন্য কোনও পদক্ষেপই নেয়নি পাকিস্তান। তিনি আরও বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে ভারত-পাক সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কী হতে চলেছে এখন সেটাই দেখার।