সংক্ষিপ্ত

  • একজনের বয়স ৯৬, একজন ১০৫-কিন্তু তাঁদের কীর্তিকে কুর্ণিশ জানাবেন
  • এই দু'জনের মধ্যে এক জনের নাম কার্থিয়ানী আম্মা এবং অন্যজন ভগিরথী আম্মা
  • বয়স্ক শিক্ষা প্রকল্পের অধীনে এই দুইজনে নজির স্থাপন করেছেন
  • এর আগেও কার্থিয়ানী আম্মা এবং ভগিরথী আম্মা-কে নানা সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে
     

নিত্যদিন অফিসের চাপ, বাড়ির কাজ রীতিমত বেহাল অবস্থা। কেবল বড়রাই নয়, পড়াশোনার চাপে আজকালের ছোটদেরও ছোটবেলা হারিয়েছে। স্কুল থেকে টিউশন, এই করেই ক্লান্ত তারা, মাঠে নেমে খেলার সময় কই। তার পরে এখন স্মার্টফোনের যুগ। অবসর সময়টুকু ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ক্রল করেই কেটে যায়। তাতেও ক্লান্ত হয়ে আসে আমাদের চোখ দু'টো। এই নাজেহাল জীবনেও রয়েছে ব্যতিক্রমী হিসেবে এগিয়ে এল দু'জন মহিলার নাম। যাঁদের রুখতে পারেনি বয়স। একজনের বয়স ৯৬ বছর, অন্যজনের ১০৫, এই বয়সে স্বাক্ষরতা অভিযানে ১০০ তে ৯৮ পেয়ে অবাক করে দিয়েছিলেন দেশবাসীদের। সেটা ছিল ২০১৮ সাল। এবার এই কীর্তি-কে কুর্ণিশ জানিয়ে ২০১৯-এর নারী-শক্তি সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে কার্থিয়ানী এবং ভগিরথী-কে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ দুজনকে এই সম্মান প্রদান করবেন। 

আরও পড়ুনঃসজাগ রয়েছে সরকার ,নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী, করোনা নিয়ে আশ্বাসবাণী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

আরও পড়ুনঃগুরগাঁওয়ে করোনায় আক্রান্ত হলেন পেটিএম কর্মী, আতঙ্কে বন্ধ করা হল ই-ওয়ালেট সংস্থার দফতর

এই বয়সে সাধারণত চোখে দেখতে না পাওয়া, হাঁটতে চলতে অসুবিধা হওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, স্মৃতিশক্তি হারানো এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে কার্থিয়ানী আম্মা যিনি এখন ছিয়ানব্বই বছর বয়সে এবং ভগিরথী আম্মা যিনি বয়সের সেঞ্চুরি করে দাঁড়িয়ে আছেন একশ পাঁচ বছর বয়সে- তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন ইচ্ছে-র কাছে বয়স কোনও বাধা-ই নয়। কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলেও, তাকে উপেক্ষা করে আজ 'নারী-শক্তি পুরষ্কার ২০১৯'-এ ভূষিত হতে চলেছেন তাঁরা। কেরলের বয়স্কশিক্ষা প্রকল্পের অধীনে তাঁরা হলেন সবথেকে প্রবীণা পড়ুয়া। 

আরও পড়ুনঃপাওয়া যাচ্ছে না নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ, চরম অস্বস্তিতে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী

আরও পড়ুনঃএবার ৪৬ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ, ফের জেটকর্তা নরেশ গয়ালের বাড়ি হানা দিল ইডি

মাচের ৮ তারিখ এই পুরষ্কারে সম্মানিত করা হবে তাঁদের। কেরলের স্বাক্ষরতা অভিযান 'অক্ষরালক্ষম'এ ৯৮ পেয়েছেন দু'জনেই। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল এখন দুই আম্মা। প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় নেটদুনিয়া। আমাদের সো কলড ক্লান্ত জীবনে তাঁদের এই কীর্তি লজ্জা দেয় বইকি! কার্থিয়নী এবং ভগিরথীর এই কাজ অসংখ্য মানুষকেই অনুপ্রাণিত করবে ঠিক-ই, তবে এই অনুপ্রেরণা কতজনের কতদিন মনে থাকবে সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যায়। আশা করা যেতে পারে দুই আম্মা আজীবন আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবেন।