সংক্ষিপ্ত
মৌলানা আজাদ জন্মগ্রহণ করেন আরবের মক্কাতে।আজাদের পিতার নাম মৌলানা খয়রুদ্দিন। তাঁর পূর্বপুরুষেরা আফগানিস্থানের হেরাত থেকে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। মৌলানা খয়রুদ্দিন ১৮৯০ সালে বসবাসের জন্য কলকাতায় আসেন।
জাতীয় কংগ্রেসের কংগ্রেসের (Indian National Congress) সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ (Maulana Abul Kalam Azad)। স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন আজাদ। মৌলানা আজাদ ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক।আজাদের জন্মদিনটি সারা দেশে "জাতীয় শিক্ষা দিবস" (National Education Day) হিসেবে পালন করা হয়। মৌলানা আজাদের জন্মদিনে কিছু অজানা কথা- অনিরুদ্ধ সরকার
"মৌলানা আজাদ প্লেটো, অ্যারিস্টটল , পিথাগোরাসের সমপর্যায়ের ব্যক্তি" - মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)। "আজাদ একজন খুবই সাহসী এবং ভদ্রলোক। সাংস্কৃতিক উৎকর্ষের শেষ কথা যা এই যুগে খুব কম মানুষের সাথে সম্পর্কিত" - জওহরলাল নেহেরু।
আরও পড়ুন- COVID-19 Vaccination-করোনা চলে গেছে,এমন ভাবার কোনও কারণ নেই-সতর্কতা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
(১)স্বাধীন ভারতে শিক্ষাবিস্তারে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের (Maulana Abul Kalam Azad) উজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণে রেখে তাঁর জন্মদিনটি সারা দেশে "জাতীয় শিক্ষা দিবস" হিসেবে পালন করা হয়।
(২) মৌলানা আজাদ (Maulana Abul Kalam Azad) জন্মগ্রহণ করেন আরবের মক্কাতে।আজাদের পিতার নাম মৌলানা খয়রুদ্দিন। তাঁর পূর্বপুরুষেরা আফগানিস্থানের হেরাত থেকে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। মৌলানা খয়রুদ্দিন ১৮৯০ সালে বসবাসের জন্য কলকাতায় আসেন।
(৩) মৌলানা আবুল কালাম আজাদের (Maulana Abul Kalam Azad) বাবা ছিলেন একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। সিপাহী বিদ্রোহের সময়কালে মৌলানা আজাদের বাবার মৃত্যু হয়।
(৪) আবুল কালাম আজাদ (Maulana Abul Kalam Azad) ১৯১২ সালের জুন মাসে ‘আল-হিলাল’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। “উর্দু সাংবাদিকতার ইতিহাসে ‘আল-হিলাল’ প্রকাশ এক যুগান্তকারী ঘটনা। তিনি সাংবাদিকতার পেশা গ্রহণ করে ব্রিটিশ শাসনের সমালোচনা করেন এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে সমর্থন জানান।
(৫)১৯২৩ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি।
(৬)স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন। তিনি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্থাপন করেন।
(৭) তরুণ বয়স থেকে মৌলানা আজাদ উর্দু ভাষায় কবিতা, ধর্ম এবং দর্শন-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিবন্ধ রচনা করতে শুরু করেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘আল-বায়ান’, ‘তারজমান-উল-কোরান’ । তাঁর আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘তাজকিবাহ’ প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। এছাড়া ‘গাবর-ই-থাতির’ নামে একটি চিঠিপত্রের সংকলন প্রকাশিত হয় আজাদের নামে।
(৮)খিলাফৎ আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করার সময় আজাদ গান্ধীজির সান্নিধ্যে আসেন।
(৯) ভারত ভাগ হওয়ার পর মৌলানা আজাদ গভীর দুঃখ নিয়ে বলেন, “প্যাটেলকে আজ জিন্নার চেয়েও দ্বিজাতিতত্ত্বের বড় সমর্থক হতে দেখে আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম। দেশভাগের পতাকা জিন্না তুলে থাকলেও তার প্রকৃত পতাকাবাহক এখন সর্দার প্যাটেল।"
(১০) ১৯৫৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ৬৯ বছর বয়সে দিল্লীতে পরোলোকগমন করেন স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ (Maulana Abul Kalam Azad)।