সংক্ষিপ্ত
জাতীয় সম্পত্তির নগদীকরণ ইস্যুতে কংগ্রেস বিজেপি তরজা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরাসরি নিশানা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে।
জাতীয় নগদীকরণ পাইপলাইন ( national monetisationa pipeline) ইস্যুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা করা বলেছেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একই সঙ্গে তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পি চিদম্বরমেরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ব্যপক দুর্ণীতি করেছে কংগ্রেস। এখন বিজেপির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন আর মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।
বিলগ্নিকরণ ইস্যুতে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বসেছেন দেশের সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে মোদী সরকার। গত ৭০ বছর ধরে এই দেশে যে সম্পদ তৈরি করেছিল তা প্রধানমন্ত্রী তাঁর ব্যবসায়ী বন্ধুদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেছিলেন কংগ্রেস বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু বেসরকরারিকরণেরও একটা যুক্তি থাকবে।
কংগ্রেসের এই মন্তব্যের প্রতিবাদেই এদিন একটি বিবৃতি জারি করে তীব্র সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। স্মতি ইরানি বলেন, রাহুল গান্ধী যা মন্তব্য করছেন তা রাজনৈতিক দেউলিয়াপনারও প্রতিফলন। এটি রাজনৈতিক ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্য আবারও প্রমান করে তিনি কোনও কারণ ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্লজ্জভাবে নিশানা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন জাতীয় নগদীকরণ প্রক্রিয়াটি রীতিমত স্বচ্ছ। দেশের অর্থভাণ্ডার পুরণ করছে। দেশকে কংগ্রেস পার্টির চোরেদের হাত থেকে রক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি ইরানি। নরেন্দ্র মোদীর সরকার দেশের উন্নতি আর অগ্রগতির জন্য এজাতীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তালিবানদের লুঠকরা অস্ত্রই পাকিস্তানের ভরসা, আমেরিকান অস্ত্র হাতে পেতে পারে ভারতের জঙ্গিরা
স্মৃতি ইরানি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন সরকার সমস্ত সম্পত্তির মালিকানা ধরে রাখবে। শুধুমাত্র কিছু সময়ের জন্য এই সম্পত্তিগুলি ইজারা দেবে। সম্পত্তি বিক্রি করার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট সময় পরে সম্পত্তিগুলি সরকারের কাছে ফিরে আসবে। এইভাবে যে টাকা আসবে তা দেশের উন্নয়ন আর পরিকাঠামো খাতে ব্যয় করা হবে।
COVID 19 নিয়ে গবেষণায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ , BRICSএর সঙ্গে হাত মেলাল ভারত
রাহুল গান্ধীকে টার্গেট করার পাশাপাশি স্মৃতি ইরানি বলেন ২০০৬ সালে কংগ্রেস সরকারের আমলে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বেই বিমানবন্দরগুলির বেসরকারিকরণ শুরু হয়েছিল। কংগ্রেস দেশের রাস্তা, রেল আর বিমান বন্দর বিক্রি করেছে। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন একগুচ্ছ সরকারি সম্পক্তি বেসরকারি করণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরেই রাহুল গান্ধী সমালোচনা শুরু করেছেন। যা ঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী।