সংক্ষিপ্ত
তালিবানদের হাতে মার্কিন অস্ত্রের ভাণ্ডার। লুঠ করা অস্ত্র পাকিস্তানের মাধ্যমে পৌঁছে যেতে পারে এদেশের জঙ্গিদের হাতে। তেমনই আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা।
আফগানিস্তানে তালিবানদের জয় ভারতীয় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভরতের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। কারণ তালিবানরা ইতিমধ্যেই আফগান সেনার অস্ত্রাগারের দখল নিয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন সেনা বাহিনীর কিছু অস্ত্রও লুঠ করছে। বর্তমানে তাঁদের হাতে আমেরিকার তৈরি বিপুল অস্ত্রের সম্ভার রয়েছে। সেই অস্ত্রগুলি প্রথমে পাকিস্তানে পাঠান হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)এর মাধ্যমে সেগুলি পাক জঙ্গি সংগঠনের হাতে পৌছে যাবে। তারপরই সেই অস্ত্রগুলি ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে পাকিস্তানের মদতে এখনও এদেশের মাটিতে যেসব জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে তাদের হাতে।
ভারতের এক উর্ধ্বতন সামরিক কর্তা জানিয়েছেন, ভারতের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে পারিস্তান ওই অস্ত্রই সরবরাহ করবে।কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমেরিকার তৈরি ওই অস্ত্রগুলি মোকাবিলা ও নিরাপত্তার জন্য পুরোপুরি তৈরি রয়েছে ভারত। একটি সূত্র বলছে ইতিমধ্যেই ছোট ছোট প্রচুর মার্কিন অস্ত্র পাকিস্তানে পাছান হয়েছে। কিন্তু পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি যেভাবে তালিবানদের জয়ের জন্য উৎসাহিত হয়েছে তাতে আশঙ্কা আরও বড়ছে। সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কর্তা সংবাদ সংস্থা এএনআইএর প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি তালিবানদের কাছ থেকে আগামী দিনে বড় রকম অস্ত্র সাহায্য চাইতে পারে। সেই অস্ত্র দিয়েই পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
Viral Video: ফুচকা খাবার আগে সাবধান, আপনার ফুচকার টকজলে নেইতো বিক্রেতার প্রস্রাব
ভারতীয় সেনা কর্তাদের অনুমান গত ২০ বছর ধরে আমেরিকা প্রচুর পরিমাণে আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছিল আফগানিস্তান সেনা বাহিনীকে। সেই তালিকায় রয়েছে M-16 ও M-4এর মত অ্যাসল্ট লাইফেলও। এছাড়াও প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষের বেশি ছোট অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল। আমেরিকা আফগান বাহিনীকে সাঁজোয়া ভেদন, গোলাবারুদ, স্টিল কোর বুলেটের একটি বিশাল ভাণ্ডার হস্তান্তর করেছিল। কিন্তু সেগুলি বর্তমানে তালিবানদের হাতে। আনেরিকান সৈন্।দের উপহার দেওয়া আফগান বাহিনীর কাছ থেকে তালিবানরা ইতিমধ্যেই প্রচুর জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মধ্যে বুলেটপ্রুফ সামগ্রীসহ নাইটভিশন গগলসও রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে স্নাইপার রাইফেলও এখন তালিবানদের দখলে রয়েছে।
'মুখ্যমন্ত্রীকে চড় মারতাম', মন্তব্য করে বিপাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, শিবসেনা-বিজেপি ধুন্ধুমার
একটি সূত্র মনে করছেন এই অস্ত্রগুলির একটি বড় অংশই অবৈধভাবে পাকিস্তানে যেতে পারে। তবে আফগানিস্তানে তালিবানরাজ নিয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক রয়েছে ভারত। কাবুলের পতনের পরই জম্মু ও কাশ্মীরসহ সীমান্ত উপত্যকায় বাড়ান হয়েছে নিরাপত্তা। এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা যদি আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও ব্যবহার করে তাহলেও তাদের তুলনায় পিছিয়ে থাকবে না ভারতীয় বসেনা জওয়ানর। উপত্যাকায় যথেষ্ট উন্নত সরঞ্জাম ব্যবহার করছে জওয়ানরা।
Horrific Video: চোখের সামনে ভেঙে পড়ছে পাহাড়, 'ভয়ঙ্কর ভূমিধস' বলে চিৎকার যাত্রীদের
সূত্রের খবর, পাকিস্তান সেনা বাহিনী তালিবান সন্ত্রাসবাবীদের মাধ্যমে ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে। সেনা সূত্রের খবর ভারতের সিনিয়র সেনা কর্তাদের অধিকাংশই ১৯৯০ সালে আফগান সন্ত্রাসবাদীদের মুখোমুখি হয়েছিল। তবে কাশ্মীর উপত্যকায় তালিবানরা সহজে জায়গা করতে পারবে না বলেও মনে করছেন সেনা কর্তরা। কারণ উপত্যকার নারী আর তরুণীরা তালিবানদের অত্যাচারের কারণে যথেষ্টই ঘৃণা করে। তালিবানদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় যেতেও দ্বিধা বোধ করে না তারা।
তবে আগেরবারে তালিবানরা যখন সোভিত থেকে মুক্তি পেয়ে আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করেছিল সেই সময়ও প্রচুর পরিমাণে সোভিয়েত রাশিয়ার তৈরি অস্ত্র কাশ্মীরের সন্ত্রাসমূলক কাজে ব্যবহার করেছিল। যার অনেকটাই সোভিয়েত ও আফগান সেনা বাহিনীর ছিল।