সংক্ষিপ্ত
চরম বিতর্কে জড়ালেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার (Gurdwara Kartarpur Sahib) সফরে গিয়ে ইমরান খানকে (Imran Khan) 'বড়ে ভাই' বলা থেকে শুরু করে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা।
চরম বিতর্কে জড়ালেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। শনিবার, পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার (Gurdwara Kartarpur Sahib) সফরে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে যখন ক্রমাগত জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার হুমকি দেখা দিচ্ছে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি ভারত সরকারকে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য দুই দেশের মধ্যের সীমানা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানালেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) বললেন তাঁর 'বড়ে ভাই' অর্থাৎ দাদা। আর সিধুর এই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেসকে (Congress) নিশানা করার সুযোগ ছাড়েনি গেরুয়া শিবির।
এদিন, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিধু বলেন, পঞ্জাবের (Punjab) জীবনে পরিবর্তন আনতে চাইলে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের (Cross-Border Trade) জন্য ভারত-পাক সীমান্ত (India-Pakistan Border) খুলে দেওয়া উচিত। ২,১০০ কিলোমিটার দূরের, গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর (Mundra Port, Gujarat) ঘুরে পাকিস্তানে (Pakistan) যায় পঞ্জাবের পণ্য। ভারত-পাক সীমান্ত, পণ্য বহনের জন্য খুলে দিলে, সেই দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ২১ কিলোমিটার। কাজেই পরিবহন খরচ অনেক বেঁচে যাবে। বাণিজ্যের সম্ভাবনা অনেক বাড়বে।
আরও পড়ুন - দরজা ভেঙে নওয়াজ শরিফের মেয়ের শোওয়ার ঘরে হানা দিল ইমরানের পুলিশ, গ্রেফতার জামাই
আরও পড়ুন - মরিয়ম-কে 'ইঁদুর-ছত্রাক' খেতে বাধ্য করেছিলেন ইমরান খান, শৌচাগারে লাগানো ছিল ক্যামেরা
পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিবেই, সমাধীস্থ হয়েছিলেন শিখ ধর্মের (Shikhism) প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক (Guru Nanak)। তাই এই ধর্মের মানুষদের জন্য এই গুরুদ্বার অত্যন্ত পবিত্র। গুরু নানক জয়ন্তীর দুই দিন আগে ভারত সরকার করিডোরটি পুনরায় চালু করে। এরপরই সেখানে সফরে গিয়েছিলেন সিধু। পাকিস্তানে মাজার গুরুদ্বার পরিদর্শনের পর, সিধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তার 'বড়ে ভাই' বলেন। কংগ্রেস নেতা বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রচেষ্টাতেই কর্তারপুর করিডোর (Kartarpur Corridor) খোলা সম্ভব হয়েছে'। এর আগে, ইমরান খানও কর্তারপুর সাহেব করিডোর খোলার বিষয়ে সিধুর ভূমিকার জন্য তাঁর প্রশংসা করেছিলেন।
সিধুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, ভারতীয় জনতা পার্টির আইটি (BJP) সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya), কংগ্রেস হাইকমান্ডকে একহাত নিয়েছেন। নভজোৎ সিধুকে তিনি 'পাকিস্তান-প্রেমী সিধু' বলে অভিহিত করেছেন। অভিজ্ঞ নেতা অমরিন্দর সিং-কে (Amrindar Singh) সরিয়ে 'পাকিস্তান-প্রেমী সিধু', পঞ্জাব কংগ্রেসের সর্বেসর্বা করার জন্য তিনি কংগ্রেস হাইকমান্ডের সমালোচনা করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, রাজনীতিতে আসার আগে, সিধু এবং ইমরান খান - দুজনে ক্রিকেটার মাঠেও সমসাময়িক ছিলেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে সম্পর্কও অত্যন্ত ভাল। ২০১৮ সালের অগাস্টে, পাক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার সময়ও সিধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইমরান খান। সিধু সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তানে গিয়েওছিলেন। সেইসময় আবার পাক সেনা প্রধান, জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে (Gen Qamar Javed Bajwa) আলিঙ্গন করে বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান। পরে নিজের স্বপক্ষে বলেছিলেন, 'আলিঙ্গনটি খুব এক সেকেন্ডের জন্য ছিল। যখন দুই পাঞ্জাবির দেখা হয়, তখন তারা একে অপরকে আলিঙ্গন করে। এটাই পাঞ্জাবের স্বাভাবিক অভ্যাস।'