সংক্ষিপ্ত
বোর্ডের আওতাধীন সমস্ত ১০৩টি মাদ্রাসায় ড্রেস কোড এবং এনসিইআরটি সিলেবাস প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ৭টি মাদ্রাসা আধুনিক হবে। ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাদাব শামস বলেন, প্রাথমিকভাবে সাতটি মাদ্রাসা আধুনিক স্কুলের আদলে পরিচালিত হবে।
উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে মাদ্রাসাগুলিতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে NCERT পাঠ্যক্রম এবং ড্রেস কোড কার্যকর করা হবে। উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন যে বোর্ডের আওতাধীন সমস্ত ১০৩টি মাদ্রাসায় ড্রেস কোড এবং এনসিইআরটি সিলেবাস প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ৭টি মাদ্রাসা আধুনিক হবে। ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাদাব শামস বলেন, প্রাথমিকভাবে সাতটি মাদ্রাসা আধুনিক স্কুলের আদলে পরিচালিত হবে। অন্যান্য ধর্মের শিশুরাও এসব মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ৭টি মাদ্রাসায় ড্রেস কোড কার্যকর করা হবে। ড্রেস কোড কার্যকর করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সম্মতি পাওয়া গেছে।
উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন যে বোর্ডের আওতাধীন সমস্ত ১০৩টি মাদ্রাসায় ড্রেস কোড এবং এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম কার্যকর হতে চলেছে। প্রথম পর্যায়ে, দেরাদুন, উধম সিং নগর এবং হরিদ্বার থেকে দুটি মাদ্রাসা এবং নৈনিতাল জেলার একটি মাদ্রাসাকে আধুনিক বিদ্যালয়ের আদলে চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
ফজরের নামাজের পর সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মাদ্রাসায় কোরআন পড়ানো হবে। এরপর সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত মাদ্রাসাটি স্বাভাবিক স্কুলের মতোই চলবে, দুপুর দুইটার পর থেকে আবার মাদ্রাসা হিসেবে চালু হবে।
ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাদাব শামস বলেছেন যে মাদ্রাসাগুলি উত্তরাখণ্ড বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করবে, মাদ্রাসা বোর্ডে নয়। রাজ্য সরকার মাদ্রাসার সমীক্ষা নিয়ে আলোচনার পরেই মাদ্রাসাগুলির আধুনিকায়নের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধীরা একে মেরুকরণ বলে অভিহিত করেছে।
এরআগে, ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআর-এর সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল। সমীক্ষা জানায় দেশ জুড়ে মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষা নেওয়া শিশুরা ৪০০ বছরের পুরোনো সিলেবাসেই পড়াশোনা করছে। মাদ্রাসার সিলেবাসের বেশিরভাগ অংশই অবৈজ্ঞানিক ও কুসংস্কারে ভর্তি। এছাড়াও এনসিপিসিআর জানাচ্ছে বহু মুসলিম শিশু এমন মাদ্রাসায় শিক্ষা লাভ করছে, যেগুলি নথিভুক্তই নয়।
এছাড়াও, শিশুদের জন্য পাঠ্য বইয়ে কোরানের অসংখ্য অংশ পাওয়া গেছে। শিশুদের ধারণা স্পষ্টভাবে তৈরি করার জন্য, সচিত্র প্রতিবেদন দেখতেও দেওয়া হয় না। এনসিপিসিআর রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয় যে শ্রেণীকক্ষে জিনের জন্য বিধান রয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষায় কো-এডুকেশনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে দেশ জুড়ে নথিভুক্ত না হওয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা লাভ করছে ১.১ কোটি মুসলিম শিশু। দেশে মাত্র ছয় হাজার মাদ্রাসাকে নথিভুক্ত করা গিয়েছে।
বিশেষ সূত্রের খবর মাদ্রাসার তরফে আগে জানানো হয়েছিল এখানে সিলেবাসে অংক, ইংরেজি ও কম্পিউটারের মত বিষয় পড়ানো হয়। কিন্তু তা যে সত্যি নয়, সে বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছেন এনসিপিসিআর আধিকারিকরা।