সংক্ষিপ্ত

  • জামিয়ায় পুলিশের লাঠিচার্জ কাণ্ডে  নয়া মোড়
  •  নতুন ফুটেজে পড়ুয়াদের দেখা গেল 'ধ্বংসাত্বক মেজাজে'
  • মুখ ঢেকে, পাথর হাতে লাইব্রেরিতে ঢুকতে দেখা গেল পড়ুয়াদের
  • যা দেখে জামিয়া  কাণ্ডের আসল তথ্য় সামনে উঠে এসেছে 

জামিয়ায় পুলিশের লাঠিচার্জ কাণ্ডে  নয়া মোড়। নতুন ফুটেজে সিএএ প্রতিবাদকারীদেরই দেখা গেল 'ধ্বংসাত্বক মেজাজে'। মুখ ঢেকে, পাথর হাতে লাইব্রেরিতে ঢুকতে দেখা গেল পড়ুয়াদের। যদিও নতুন এই সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। লাইব্রেরিতে পাথর হাতে যাদের দেখা গিয়েছে, তাঁরা সিএএ প্রতিবাদকারী না কলেজ ছাত্র তা যাচাই করা হয়নি। 

মার্চেই হয়তো দোতালা বাস ফিরবে কলকাতায়, এবার খোলা ছাদে শহর দেখবে যাত্রীরা

মাঝে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান। জামিয়ার  লাইব্রেরিতে দুটি সিসিটিভি ফুটেজ ঘিরে পর্দা ফাঁস হল সেদিনের ঘটনার। আগের ফুটেজে জামিয়ার লাইব্রেরিতে নিরস্ত্র ছাত্রদের  ওপর দিল্লি পুলিশের লাঠিচার্জকে ধিক্কার জানিয়েছিল  গোটা দুনিয়া। পরের ফুটেজ প্রকাশ্য়ে আসতেই পরিষ্কার হয়ে গেল ১৫ডিসেম্বরের ঘটনা। যেখানে দেখা যাচ্ছে একে একে মুখে কাপড় বাধা ছাত্র ছাত্রীরা জামিয়ার লাইব্রেরিতে প্রবেশ করছেন। এক সময় পুলিশের ভয়ে দরজা বেঞ্চ দিয়ে বন্ধ করে দিতে দেখা যাচ্ছে ছাত্রদের।   

— BJP Karnataka (@BJP4Karnataka) February 16, 2020 

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি। রাজধানীতে প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়ুয়ারাও। যার মধ্য়ে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয় ছিল অন্য়তম। ১৫ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ব্য়াপক সংঘর্ষ বাধে ওই জামিয়ার পড়ুয়াদের।  পুলিশের অভিযোগ, পড়ুয়ারা পুলিশের ওপর পাথর ছুড়তে থাকে। বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শেষে পুলিশকে বাধ্য় হয়ে লাঠি চালাতে হয়। যদিও পড়ুয়াদের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালায় ও বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। 

তাপস সহ তিন মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

পড়ুয়াদের তরফে বলা হয়, ছাত্রদের মধ্য়েই দাঙ্গাবাজরা ঢুকে ওই কাজ করে থাকতে পারে। মূলত, জামিয়ার ছাত্রদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই কাজ করা হয়েছে। যার জেরে ওইদিন কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়। ছাত্র পুলিশ সংঘর্ষে মোট ৬০ জন আহত হন ওই দিনের ঘটনায়। সম্প্রতি জামিয়া কোর্ডিনেশন কমিটির তরফে এই ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যাতে দেখা যায়, লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ায় ব্যস্ত ছাত্রদের লাঠিপেটা করছে পুলিশ। কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই বই পড়তে থাকা পড়ুয়াদের বেধড়ক মারা হচ্ছে। 

देखिए कैसे दिल्ली पुलिस पढ़ने वाले छात्रों को अंधाधुंध पीट रही है। एक लड़का किताब दिखा रहा है लेकिन पुलिस वाला लाठियां चलाए जा रहा है।

गृह मंत्री और दिल्ली पुलिस के अधिकारियों ने झूठ बोला कि उन्होंने लाइब्रेरी में घुस कर किसी को नहीं पीटा।..1/2 pic.twitter.com/vusHAGyWLh

— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) February 16, 2020 

কমিটির পক্ষ থেকে এই ফুটেজ প্রকাশ করে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়। যাতে বলা হয়- এই সিসিটিভি ফুটেজ প্রমাণ করছে সেদিন পুলিশ কীরকম নৃশংস আচরণ করেছিল।  বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ওল্ড রিডিং হল লাইব্রেরির ভেতর বসে পরীক্ষার জন্য় প্রস্তুতি নিতে থাকা পডুয়াদের কীরকম লাঠি চালিয়েছে তারা। কমিটির পক্ষ থেকে ওইদিনের ঘটনায় পুলিশকে 'স্টেট স্পনসর্ড টেরোরিস্ট' বা 'রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদী' বলে অভিহিত করা হয়েছে। যদিও পরের ফুটেজ বলছে পুরো উল্টো কথা। 

কী গল্প কলকাতাকে শোনাল রোবট কন্যা সোফিয়া, দেখুন সেরা ১২ ছবি