সংক্ষিপ্ত
দাউদ ইব্রাহিম, তার সহকারী ছোট শাকিল এবং ডি কোম্পানি'-র তিনজন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে এবার চার্জশিট দাখিল করলো ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ). তাদের অভিযোগ দাউদ একটি ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধীদের সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি
দাউদ ইব্রাহিম, তার সহকারী ছোট শাকিল এবং ডি কোম্পানি'-র তিনজন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে এবার চার্জশিট দাখিল করলো ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ). তাদের অভিযোগ দাউদ একটি ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধীদের সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন।যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নীতিবিরুদ্ধ। এই সিন্ডিকেট শুধু অপরাধীদের তৈরী করে না বরং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর জন্য এরা রীতিমতো টাকার জোগানও দেয় । শনিবার এনআইএ তার একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে স্পষ্ট জানায় যে মুম্বাই ও তার সংলগ্ন ছোট অঞ্চলগুলিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর জন্য মোটা টাকার তহবিল আসে দাউদের সংস্থা থেকে।
দাউদ ইব্রাহিম এখন জাতিসংঘের অন্যতম ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী। সূত্রের খবর দাউদ আর তার সহকারী ছোট শাকিল দুজনেই এখন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে পাকিস্তানে। শনিবার দাখিল করা ওই চার্জশিটে শুধুমাত্র তাদের নামই নয়, ছিল অন্য আরও অনেক সন্ত্রাসবাদীদের নাম।আরিফ আবুবকর শেখ ওরফে আরিফ ভাইজান, শাব্বির আবুবকর শেখ এবং মোহাম্মদ সেলিম কোরেশি ওরফে সেলিম ফ্রুট হলো তাদের মধ্যে অন্যতম।এরা প্রত্যেকেই অপরাধ জগতের মাথা।
তদন্তে প্রমাণিত যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই একটি অপরাধ সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা সন্ত্রাস চক্র চালানো ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত আছেন । এবং এই অপরাধমূলক কার্যকলাপগুলি যাতে তারা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যেতে পারেন সে বিষয়টিও বিশেষ নজরদাড়িতে রাখেন তারা। দাউদের নাম করে হুমকি দেওয়া ,মৃত্যুভয় দেখিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ সংগ্রহ করা , অনৈতিক ভাবে চাঁদা তোলা - এইসব তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তবে এইসব তারা করেন মূলত মানুষের মনে ভয় বা ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য। এর পিছনে এদের আর কোনো লক্ষ্য কাজ করে না - জানান এক এনআইএ মুখপাত্র।
পুলিশ এবার বিশেষ তৎপরতা জারি করছে দাউদকে ধরার জন্য। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে কাজটি মোটেও সহজ হবে না। কারণ গ্রেফতারিকৃত অভিযুক্ত বিদেশে অবস্থানরত গ্যাংস্টারদের থেকে হাওয়ালা চ্যানেলে বিপুল পরিমানে অর্থ পায়।
ফেডারেল অ্যান্টি-টেরর এজেন্সি আগস্টে ঘোষণা করে যে দাউদকে ধরিয়ে দিতে পারলেই সে সরকার থেকে পুরস্কারস্বরূপ পাবে ২৫ লাখ টাকা।
পাকিস্তানের করাচিতে , ১৯৯৩ সালে মুম্বাইতে সিরিজ বিস্ফোরনের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য ২০০৩ থেকেই জাতিসংঘে দাউদকে মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনালের আখ্যা দিয়েছেন। এলইটি প্রধান হাফিজ সাইদ, জেইএম প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার, হিজবুল মুজাহিদিনের বস সৈয়দ সালাহউদ্দিন এবং জেএম নম্বর 2 আব্দুল রউফ আসগরও দাউদের সঙ্গে রয়েছেন এই তালিকায়।
এনআইএ এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি নতুন মামলা নথিভুক্ত করে। অভিযোগ দাউদ পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলিত হয়ে ভারতে একটি বিশেষ সন্ত্রাসবাদী ইউনিট প্রতিষ্ঠা করছেন। এবং এই সংস্থার মূল লক্ষ্য হলো বিশেষ কিছু রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করা।
তদন্তের অংশ হিসাবে, এনআইএ হাজি আলি দরগাহ এবং মাহিম দরগাহের ট্রাস্টি সুহেল খান্দওয়ানি সহ ২৯টি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল কিন্তু তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি এখনও।
আরও পড়ুন
এবার ছাঁটাই পর্ব শুরু টুইটারে , সিলিকন ভ্যালির প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মীকে বরখাস্ত করলো এলন মাস্ক
রাশিয়ার কোস্ট্রোমা শহরের এক ক্যাফেতে ভয়াবহ আগুন, নিহত ১৫ , আহতের সংখ্যাও ৭
ঠাকুমার গর্ভে নাতনির জন্ম ,মেক্সিকোর হক পরিবারের এই ঘটনা ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়