ভারতের গর্বের দিন, সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভূ-পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ নিসার উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ইসরো। কীভাবে সরাসরি দেখবেন?

শ্রীহরিকোটা: নাসা-ইসরোর যৌথ মিশন নিসার বা নিসারের উৎক্ষেপণ আজ। উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এবং ব্যয়বহুল ভূ-পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ। দুর্যোগ প্রশমনেও নিসার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উৎক্ষেপণ আজ বিকেল ৫:৪০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে। ইসরোর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে নিসার উৎক্ষেপণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বিকেল ৫:৩০ মিনিটে ইসরোর সরাসরি সম্প্রচার শুরু হবে। ৫:৪০ মিনিটে নিসার স্যাটেলাইট নিয়ে জিএসএলভি-এফ১৬ রকেট উৎক্ষিপ্ত হবে।

১৩,০০০ কোটি টাকা ব্যয়, ২,৪০০ কিলো ওজন

মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সুনাম আরও বাড়ছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সহযোগিতায় ইসরো তৈরি করেছে নিসার উপগ্রহ। নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার স্যাটেলাইট-এর সংক্ষিপ্ত রূপ নিসার। নিসার উপগ্রহের উৎক্ষেপণ ব্যয় প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকার বেশি। এই অর্থ নাসা এবং ইসরো ভাগ করে নিচ্ছে। ইসরোর এ যাবৎকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল উপগ্রহ নিসার। ২,৪০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই উপগ্রহটি জিএসএলভি-এফ১৬ রকেটে উৎক্ষিপ্ত হবে। ৭৪৭ কিলোমিটার উচ্চতার কক্ষপথে নিসার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে। পাঁচ বছর মেয়াদী এই মিশন।

দুটি সার রাডার

বিশ্বের প্রথম দুটি সার রাডার সম্বলিত ভূ-পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ নিসার। ইসরোর এস ব্যান্ড রাডার এবং নাসার এল ব্যান্ড রাডার এই উপগ্রহে রয়েছে। দিন-রাত, যেকোনো আবহাওয়ায় পৃথিবীর প্রতিটি ইঞ্চি অতি সূক্ষ্মভাবে নিরীক্ষণ করতে পারবে নিসার। ভূমিধ্বস, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প সবই নিসারের রাডারের নজরে পড়বে। সমুদ্রের পরিবর্তন, নদীর স্রোত, ভূমি ক্ষয় সবই রেকর্ড করবে। দাবানল, হিমবাহের গতিবিধি, বরফের স্তরে পরিবর্তন সবই চিহ্নিত করবে। কৃষি জমির আর্দ্রতা, ফসলের বৃদ্ধি, বনের সবুজ সবই নিরীক্ষণ করতে পারবে নিসার। বারো দিন অন্তর পৃথিবীর প্রতিটি ইঞ্চি নিসারের রাডার সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

Scroll to load tweet…