সংক্ষিপ্ত
নীতার কথায়, “বিয়ের এক বছর পরেই ডাক্তার বলে দিয়েছিল আমি কখনওই মা হতেপারব না। আমি স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিলাম স্কুলেও একবার রচনা লিখেছিলাম. আমি যেদিন মা হবো।”
যন্ত্রণাদায়ক হলেও বহু মহিলা মাতৃত্ব নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু ইনফার্টিলিটির কারণে মা হওয়ার রাস্তায় বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় অনেককে। এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশঅম্বানীর স্ত্রীকেও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। মাত্র ২৩ বছর বয়সে নীতা অম্বানীকে বলে দেওয়া হয়, তিনি কখনওই মা হতে পারবেন না।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিন সন্তানের মা নীতা। নীতার কথায়, “বিয়ের এক বছর পরেই ডাক্তার বলে দিয়েছিল আমি কখনওই মা হতেপারব না। আমি স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিলাম। স্কুলেও একবার রচনা লিখেছিলাম. আমি যেদিন মা হবো।”
কিন্তু এই মুহূর্তে নীতা তিন সন্তানের মা। নীতা জানান বন্ধু এবং চিকিৎসক ফিরুজা পারিখের সহযোগিতায় প্রথম বার যমজ সন্তানের জন্ম দেন নীতা। যমজ সন্তান আকাশ ও ঈশাঅম্বানী দুজনকেই সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম দেন ঈশা।
তিন বছর পরে নীতার গর্ভে আসে অনন্ত অম্বানী। সারোগেসি নয়, স্বাভাবিক পদ্ধতিকে অনন্তকে জন্ম দেন অম্বানী পত্নী। সেই সময়ে প্রেগন্যান্সি ওয়েট এতই বেড়ে গিয়েছিল যেনীতাকে শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়।
একটি সাক্ষাৎকারে সারোগেসির মাধ্যমে জন্মের প্রসঙ্গে ঈশা অম্বানী বলেছিলেন, “বাবা-মা-র বিয়ের সাত বছর পরে আমরা জন্মাই। আমি আর আকাশ আইভিএফ-এর মাধ্যমেজন্মেছিলাম। আমরা যখন পৃথিবীতে এলাম তখম মা সারাদিন আমাদের সঙ্গেই থাকতেন। আমাদের যখন ৫ বছর বয়স তখন আবার মা কাজ শুরু করেন।”
কিন্তু নীতা নাকি প্রথম থেকেই বেশ কড়া। ঈশা জানিয়েছেন, “আমরা স্কুল কামাই করতে চাইলে বাবা রাজি থাকত। কিন্তু মা খুব কড়া ছিল। মা দেখত,আমরা ঠিক সময়ে খাচ্ছি, পড়ছি কি না। সেই সঙ্গে আমার দাদু-দিদা ও মাসিও ছোটবেলায় আমাদের দেখাশুনো করেছেন।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আকাশ অম্বানী ও ঈশা অম্বানীর বিয়ে হয়েছে। ঈশার রাজকীয় বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন তারকারাও।