Niti Aayog Meeting 2025: অনুষ্ঠিত হল নীতি আয়োগের বৈঠক। তবে সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের মুখ্যমন্ত্রীরা।
Niti Aayog Meeting 2025: নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম থেকেই কেন্দ্র এবং রাজ্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেন। কার্যত, প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই কেন্দ্র-রাজ্য ‘ঐক্যের’ বার্তাই দেন প্রধানমন্ত্রী।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীরা
তারা সেই বৈঠকে মোদীর কাছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে শুরু করে তহবিল বণ্টনের বৈষম্য সহ একাধিক বিষয় তুলে ধরেন। কেউ কেউ আবার জলবণ্টন নিয়েও কথা বলেন।
আবার কেউ কেন্দ্রীয় তহবিল নিয়েও মুখ খুলেছেন। নীতি আয়োগের বৈঠকে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একাধিক অভিযোগ শোনেন মোদী। এই বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই কেন্দ্র-রাজ্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেন। কিন্তু সেই বৈঠকেই বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে অর্থবণ্টন নিয়ে বেজায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
সেইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় তহবিল বৃদ্ধির বিষয়ে জোর দিয়েছেন বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীরা
অনেকেই আবার কর বাবদ প্রাপ্ত অর্থে রাজ্যের বরাদ্দ নিয়েও কথা বলেন। শনিবারে অনুষ্ঠিত হওয়া এই নীতি আয়োগের বৈঠকের বিরতিতে রীতিমতো মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা গেছে নরেন্দ্র মোদীকে। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তো ছিলেনই, কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের বেশ কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তালিকায় ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, পাঞ্জাবের ভগবত মান এবং তেলঙ্গানার রেবন্ত রেড্ডি।
জানা গেছে এই বৈঠকে মোদী বিশেষ জোর দেন, রাজ্যগুলির পর্যটন নিয়ে। এই বিষয়ে নিজের মতামতও জানান প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, আগামী ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতের জন্য বিকশিত রাজ্য গড়ে তোলার উপরও জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তা-ই নয়,
তাঁর কথায়, "আমাদের উন্নয়নের গতি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। যদি কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি একসঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার মতো মিলেমিশে কাজ করতে পারে, তাহলে কোনও লক্ষ্যে পৌঁছনোই অসম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রত্যেক রাজ্যের উচিত অন্তত একটি করে পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করা। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, সেই সব পর্যটনকেন্দ্রে সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা এবং পরিকাঠামোর যেন ব্যবস্থা থাকে।’’
এদিকে এই বৈঠকে এমকে স্ট্যালিন বিশেষ জোর দেন রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে
আবার ভগবত হরিয়ানার সঙ্গে জল ভাগাভাগির আপত্তির বিষয়টি তুলে ধরেন। জাতীয় নয়া শিক্ষানীতিকে শিখণ্ডী করে হিন্দিকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন স্ট্যালিন। তাঁর রাজ্যে তিনি নয়া শিক্ষানীতি চালু করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাছাড়া কেন্দ্রীয় শিক্ষাখাতে তামিলনাড়ুর প্রাপ্য টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি, এই বিষয়টি আবার সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রীতিমতো শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। এবার সেই আবহেই স্ট্যালিন বলেন, ‘‘ভারতের মতো যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রের দেশে প্রাপ্য তহবিলের জন্য লড়াই এবং মামলা করা একেবারেই আদর্শ নয়। আর এই সব কারণই রাজ্য এবং কেন্দ্রের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।’’
তবে শনিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া এবং কেরালার পিনারাই বিজয়ন, বিহারের নীতীশ কুমার। কিন্তু তিনি শনিবার দুপুরে দিল্লী গেছেন, তবে বৈঠকে যোগ দেননি। সূত্রের খবর, রবিবার এনডিএ-র এক বৈঠকে থাকতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

