গালওয়ানে চিনা সেনাদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত ২০ জন ভারতীয়এমনটাই জানিয়েছিল ভারতীয় সেনাকিন্তু বিদেশি মিডিয়ায় দাবি এখনও অনেক জওয়ান নিখোঁজসত্যিই কি তাই, কী বলল ভারতীয় সেনা

সোমবার রাতে গালওয়ানে চিনা সেনাদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এখনও কয়েকজন ভারতীয় সেনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, এমনটাই দাবি করেছে বেশ কিছু বিদেশী সংবাদমাধ্যম। বিশেষ করে মার্কিন গোয়েন্দারা এমনটা জানিয়েছেন বলে দাবি করেছে বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম। তাহলে কি সত্যিই এখনও কিছু ভারতীয় সেনা নিখোঁজ? বৃহস্পতিবার অবশ্য ভারতীয় সেনার সূত্রে এই জল্পনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হল। তারা বলেছে যে গালওয়ান সংঘর্ষে যে সমস্ত ভারতীয় সেনা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সকলেরই হিসাব রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল পূর্ব লাদাখের ওই উপত্যকায় সোমবার রাতে এক কর্নেল-পদমর্যাদার অফিসার সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে রাতের দিকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় কুড়ি জন। এখনও অবধি ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ওই কুড়ি জনেরই মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

Scroll to load tweet…

তবে চিনের পক্ষ থেকে তাঁদের পক্ষেও রক্তপাত হয়েছে বলে জানানো হলেও, সরকারিভাবে কতজনের প্রাণহানি হয়েছে বা কতজন আহত হয়েছেন, তা কিছুই জানানো হয়নি। চিনা সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশের বিষয়ে এখনও সম্মতি দেননি চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের খবর বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েথে চিনা সেনার অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রের দাবি মৃত ও গুরুতর আহত চিন সেনার সংখ্যাটা ৪০ জনেরও বেশি।

জানা গিয়েছে ওই রাতে দুই পক্ষশ্রের সেনা সদস্যদের মধ্যে বন্দুক ছাড়াই শারীরিকভাবে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে লড়াই চলেছিল। মধ্যরাতের পর সেই রক্তক্ষয়ী হাতাহাতি থামে। কর্নেল সন্তোষ বাবু-সহ ভারতীয় সেনার বেশ কয়েকজন সদস্য চিনা সেনার লোহার রড, কাঁটাতার জড়ানো বেসবলের ব্যাট, পেরেক লাগানো লাঠি আঘাতে মারা যান। আর বাকিদের মৃত্যুর কারণ হাইপোথার্মিয়া।
সংঘর্ষটি ঘটেছিল গালওয়ান নদীর কিছুটা উপরে একটি পাথুরে এলাকায়। হাতাহাতির সময়ে উভয় পক্ষের সেনা সদস্যরাই গালওয়ান নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। ওই উচ্চতায় রাতে নদীর দলের তাপমাত্রা থাকে শূন্য ডিগ্রিরও অনেকটা নিচে।