সংক্ষিপ্ত

সেন্ট্রল নয়ডা পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার হৃদেশ কাথেরিয়া বলেছেন, অভিযোগকাশী শিবাঙ্গীর বাড়ি বিসরাখ এলাকায়।

 

নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ৮ মাস পরে নয়ডা পুলিশের উদ্ধার করল একটি দুধের শিশুকে। পুলিশের দাবি শিশুটিকে চুরি করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতারে করেছে পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে একজন চিকিৎসকও। পুলিশ জানিয়েছেন, দুধের শিশুকে মায়ের কোল থেকে চুরি করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

সেন্ট্রল নয়ডা পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার হৃদেশ কাথেরিয়া বলেছেন, অভিযোগকাশী শিবাঙ্গীর বাড়ি বিসরাখ এলাকায়। তাঁর এক মাসের ছেলে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে নিখোঁজ। এক ব্যক্তির সঙ্গে গিয়ে তিনি অভিযোহ জানিয়েছিলেন।

ছেলে চুরি

শিবাঙ্গী জানিয়েছেন তিনি গাজিয়াবাদে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি তাঁর ছেলেকে তার পিসি ববিতা শর্মার কাছে রেখে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় ফিরে এসে ছেলে ফেরত চান। কিন্তু সেই সময় ববিতা জানিয়ে দিয়েছিল তার ছেলে নিখোঁজ হয়ে গেছে। এক মাসের ছেলে কি করে নিখোঁজ হয় তার উত্তর দিতে পারেননি ববিতা। তারপরই শিবাঙ্গী ববিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।

গ্রেফতার ববিতা

পুলিশ গ্রেফতার করে ববিতাকে। ববিতা পুলিশের জেরায় জানিয়ে দেয় টাকার বিনিময় হাপুরের একজন ডাক্তারের কাছে তিনি ছেলেটিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ডাক্তার ছেলেটিকে যমুনা নামে এক মহিলার কাছে বিক্রি করে দেয়। তবে যমুনার ঠিকানা তার কাছে নেই।

যমুনার খোঁজ

এরপরই নয়ডা পুলিশ নজরদারি দল তৈরি করে। যমুনাকে খুঁজে বার ররে। হাপুরের ডাক্তার দীপত ত্যাগীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাছে যায়। উদ্ধার করে শিশুটিকে।

২ লক্ষ টাকায় ছেলে বিক্রি

২ লক্ষ টাকায় ছেলেটিকে বিক্রি করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। শর্ত মত ববিতাকে দেওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। এক লক্ষ টাকা রেখেছিলেন চিকিৎসক ত্যাগী। শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আদালতেও উঠেছে এই মামলা।