সংক্ষিপ্ত
- ফেসবুকে শাবানা আজমির মৃত্য়ু কামনা
- মৃত্য়ু কামনা করলেন নয়ডার এক শিক্ষক
- ফেসবুকে অভিনেত্রীর মৃ্ত্য়ু কামনা করে পোস্ট
- সাসপেন্ড করা হয় সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষককে
তিনি ফেসবুকে শাবানা আজমির মৃত্য়ু কামনা করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগেই সাসপেন্ড হলেন এক শিক্ষক।
সম্প্রতি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ৬৯ বছরের এই অভিনেত্রী। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। গোটা দেশ ওই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর আরোগ্য় কামনা করছেন। এমতাবস্থায়, বছর পঞ্চাশের এক স্কুল শিক্ষক এহেন মন্তব্য় করেন বলে অভিযোগ। গ্রেটার নয়ডার একটি জুনিয়র হাইস্কুলে তিনি পড়ান বলে জানা গিয়েছে। ওই পোস্ট করায় গ্রেটার নয়ডার দাদরির ওই সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য় সাপপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা আধিকারিক বাল মুকুন্দপ্রসাদ। ওই আধিকারিকের কথায়, "ওই শিক্ষক ফেসবুক পোস্টে আপত্তিকর মন্তব্য় করেছিলেন। বিষয়টি আমাদের নজরে আসে গতকাল। তাঁর ওই মন্তব্য় চাকরি নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করে। তাই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আমরা ওঁর বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিয়েছি। শিক্ষা দফতর বিষয়টির তদন্ত করছে।"
এদিকে শাবানা আজমির মতো বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কেন এই বিষোদগার তা নিয়ে রীতিমতো বিস্মিত নেটিজেনরা। ১৮ জানুয়ারি তাঁর দুর্ঘটনার পর বলিউড তথা গোটা দেশ যখন তাঁর দ্রুত আরোগ্য় কামনা করছে, তখন একজন শিক্ষক কী করে সোশ্য়াল মিডিয়ার তাঁর মৃ্ত্য়ু কামনা করতে পারেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ আবার মনে করছেন শাবানার দুর্ঘটনার পর গেরুয়া শিবিরের সেই মন্তব্য়ের কথা, 'অভিনেত্রী তাঁর কর্মফল পেয়েছেন'। কট্টর সেকুলারপন্থী হওয়ায় গেরুয়া শিবিরের অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত। মনে করা হচ্ছে, ওই শিক্ষকও হয়তো মতাদর্শগত ভাবে সেই শিবিরের লোক হওয়ায় শাবানার মৃত্য়ু কামনা করেছেন। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, ভারতীয় সংস্কৃতিতে যখন চরম শত্রুও বিপদে পড়লে তার পাশে এসে দাঁড়ানোর ঐতিহ্য় রয়েছে, তখন দুর্ঘটনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্য়ু কামনা কী করা করতে পারেন কেউ।