সংক্ষিপ্ত

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার দুপুর ২টো ৩০ মিনিটেই বিস্ফোরণ করা হয়। তারপর মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে গেল সুপারটেক টুইন টাওয়ার। এই টাওয়ারের আশপাশে প্রচুর  আবাসন ছিল। তাই আগে থেকেই এই টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা যথেষ্ট চ্যাালেঞ্জের ছিল প্রশাসনের কাছে। 

১০০ মিটার লম্বা- কুতুব মিনারের থেকেই উঁচু বলে দাবি করা হত। সেই বিখ্যাত নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ারস গুঁড়িয়ে ধুলোয়ে মিশে গেল মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার দুপুর ২টো ৩০ মিনিটেই বিস্ফোরণ করা হয়। তারপর মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে গেল সুপারটেক টুইন টাওয়ার। এই টাওয়ারের আশপাশে প্রচুর  আবাসন ছিল। তাই আগে থেকেই এই টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা যথেষ্ট চ্যাালেঞ্জের ছিল প্রশাসনের কাছে। 

আগে থেকেই এই প্রস্তুতি নিয়েছিল নয়ডা প্রশাসন। তবে এদিনের বিস্ফোরণের পরই ওয়াটার ফল টেকনিকের মাধ্যমে দুটি বাড়ি গুঁড়িয়ে যায়। এই ঘটনায় কারও কোনও চোট আঘাত লাগেনি। তবে আশপাশের ফ্ল্যাটবাড়িতে কোনও ক্ষতি হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ। কারণ বিস্ফোরণের সময় এলাকা পুরোপুরি খালি করা হয়েছে। চেতন দত্ত , যিনি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন তিনি ছিলেন, নয়ডা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ অধিকারিক ও পুলিশের এক কর্তা উপস্থিত ছিল। সঙ্গে ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। 

টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধুলো আর ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। পরিকল্পনা মত আগে থেকেই সেখানে রাখা ছিল ড্রোন আর জল দেওয়ার গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে জল ছেটানোর কাজ শুরু হয়। তবে টুইন টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষের আশপাশের এলাকা কিছুটা দৃশ্যমান হতে সময় নেয় মাত্র তিন সেকেন্ড। এখনও সেইসব কাজ চালু রেখেছে প্রশাসন। দেখুন টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়ার ভিডিওঃ

টুইন টাওয়ার ধ্বংস


 

ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা

আবার দেখুন কী করে ভাঙা হল

ধ্বংসের ভিডিও

 

 

টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য ৩ হাজার কিলো ৭০০ গ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধোঁয়াশা বন্দুক, ১০০টিরও বেশি জলের ট্যাঙ্ক, আর কর্মীদের জন্য ৬টি যান্ত্রিক সুইপিং মেশিন আনা হয়েছিল। ১৫০ সাফাই কর্মী এই দিন একসঙ্গে কাজ করছেন। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কারণে ৫৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হবে। যা সরাতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে। টুইন টাওয়ারগুলি বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। এমারল্ড কোর্ট গ্রুপ হাউজিং সোসাইটি রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন পূর্বে একটি পিটিশন দাখিল করেছিল, অভিযোগ করে যে এটি ২০১০ সালে ইউপি অ্যাপার্টমেন্ট আইন লঙ্ঘন করেছে। এটিও দাবি করা হয়েছিল যে তাদের বিল্ডিংটি একটি পার্শ্ববর্তী ব্লক থেকে ১৬ মিটারের ন্যূনতম দূরত্বের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেছে, এটিকে অনিরাপদ বলেও দাবি করা হয়েছিল।