সংক্ষিপ্ত

 করোনার প্রতিষেধক নিয়ে ৬ সপ্তাহে তৈরি সম্ভব নয়
পুরো প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন ৬-১২ মাস
ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা যথেষ্ট জটিল 
বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ সৌম্যা স্বামীনাথন


প্রতিষেধক তৈরি করা সময় স্বাপেক্ষ। প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেকগুলি জটিল পদক্ষেপ। আর সেই কারণে মাত্র ৬ সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব নয়। জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ গবেষক সৌম্যা স্বামীনাথন। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ প্রতিষেধক তৈরির ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে। আর সেই নির্ধারিত সময় সূচি অনুযায়ী ভারতের তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে আসার কথা আগামী ১৫ই অগাস্ট।

কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ গবেষক সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, প্রতিষেধক তৈরিতে ৬ সপ্তাহ যথেষ্ট নয়। প্রতিষেধক তৈরিরে কখনও কখনও বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। তিনি আরও বলেছেন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য কখন কখন ৬-৯ মাস এমনকি ১২ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।  যা পুরোপুরি নির্ভর করে কত মস্মৃণভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

তাঁর কথায় প্রতিষেধক তৈরির সময়সীমা সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে। কিন্তু যে যে প্রক্রিয়াগুলি অনুসরণ করা দরকার সেখানে কাটছাঁট করা সম্ভব নয়। আর করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কারণ এই জাতীয় প্রতিষেধক প্রথম তৈরি হচ্ছে। 

মাদুরাইতে কামাল করেছে 'মাস্ক পরোটা', ইতিমধ্যেই মন কেড়েছে নেটিজেনদের ..

গত সপ্তাহেই আইসিএমআর এর একটি চিঠি ফাঁস হয়েগিয়েছিল। যেখানে সংস্থার প্রধান বলরাম ভার্গব লিখেছিলেন করোনার প্রতিষেধকের দ্রুত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে হবে। পাশাপাশি ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ১৫ই অগাস্ট। যদিও দেশের বিশেষজ্ঞরা রীতিমত প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। 

গালওয়ান হটস্প্রিং থেকে সেনা সরলেও আবার কূটনৈতিক বৈঠকে বসবে ভারত ও চিন , জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক ...

 'সুপার স্প্রেডার' ধরতে কেরলে কমান্ডো বাহিনী, করোনা সংক্রমণ রুখতে আবারও কড়া বিজয়ন প্রশাসন ...
যা নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বামীনাথন। তিনি বলেছেন ১৫ অগাস্ট সময়সীমা সম্পূর্ণ ভ্যাক্সিন তৈরির জন্য নয়। প্রথম পর্বের পরীক্ষার জন্য হলে ঠিক আছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৫ অগাস্টের মধ্যে  প্রথম পর্বের পরীক্ষা সম্পন্ন হতে পারে। তারপরে রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ। ২০১২ সালের মার্চের আগে কোভিড ভ্যাক্সিন হাতে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন অবশ্য ভারতীয় প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন তিনি।