সংক্ষিপ্ত


টুইটের করে গ্রেফতার গুজরাটের কংগ্রেস নেতা তথা ভাদগামের বিধায়ক। জিগনেশ মেভানিকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ।


টুইটের করে গ্রেফতার গুজরাটের কংগ্রেস নেতা তথা ভাদগামের বিধায়ক। জিগনেশ মেভানিকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ। জানা গিয়েছে , বিজেপি নেতার অভিযোগের ভিত্তিতেই জিগনেশ মেভানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গভীর রাতে পালমপুরের এক সার্কিট হাউজ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। এদিন সকালে তাঁকে আমেদাবাদ থেকে আসামে নিয়ে আসা হয়েছে।

সূত্র মারফত খবর, বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার সময়  গুজরাটের কংগ্রেস নেতা তথা ভাদগামের বিধায়ক জিগনেশ মেভানিকে পালমপুরের এক সার্কিট হাউজ থেকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ। প্রথমে তাঁকে আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাঁকে আসামে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে জিগনেশ মেভানিকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের কাছে কোনও এফআইআর-র কপি ছিলনা বেল অভিযোগ কংগ্রেসের। মূলত বিধায়ক জিগনেশ মেভানির বিব্রুদ্ধে আসামের কোঁকড়াঝাড়ের বিজেপি নেতা অরুপ দে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অসম পুলিশ, জিগনেশ মেভানির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে। যেমন দুটি সম্প্রদায়ের মধ্য়ে শত্রুতা তৈরি করা এবং সম্প্রদায়কে অপমান করা , কয়েকদিন আগে শেয়ার করা দুটি টুইটের ভিত্তিতে শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত করা। 

আরও পড়ুন, হিন্দু না মুসলিম- কার মদতে হয়েছে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী জাতি হিংসা, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

আরও পড়ুন, জাহাঙ্গীরপুরীতে ৯টি বুলডোজার আটকে দিলেন CPM নেত্রী বৃন্দা কারাত, রুখে দিলেন অবৈধ নির্মাণ ভাঙা

উল্লেখ্য জিগনেশ মেভানি একজন আইনজীবী কর্মী এবং একজন প্রাক্তন সাংবাদিক যিনি গুজরাট বিধানসবার ভাতগাম নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চের আহ্বায়ক। ২০০৪ সালে জিগনেশ মেভানি মুম্বাইতে চলে আসেন। এবং অভিযান নামে গুজরাটি সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিক হন। একজন কর্মী হওয়ার জন্য সাংবাদিকতা ছেড়ে দেওয়ার আগে তিনি ৩ বছর ম্যাগাজিনে কাজ করেছিলেন। এই সময় তিনি একটি গুজাটি ভাষার দৈনিক পত্রিকায় সংক্ষিপ্তভাবে কাজ করছিলেন। তার সাক্ষ্যে তিনি বলেছেন যে, তিনি আদর্শবাদ এবং বাস্তববাদ দুটি ভিন্ন জিনিস অনুভব করেছিলেন। এবং খেদু মোরা রে নামে কৃষকদের আত্মহত্যার উপরগুজরাটি ডকুমেন্টারি দেখার পরে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন ছেড়ে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছিলেন। 

জিগনেশ মেভানি তখনও গুজরাটের কংগ্রেস নেতা তথা ভাদগামের বিধায়ক হননি। ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে তিনি শুরু দিকে তার সক্রিয়তা শুরু করেন। এরপর ২০০৮ সালে গুজরাটে ফিরে আসেন। এরপরেই তিনি নাগরিক অধিকার সংগঠনে যোগদেন। অপরদিকে, এদিন কংগ্রেস সমর্থকরা একুশে এপ্রিল রাজধানীতে, সংবিধান বাঁচাও, স্লোগান দিয়ে তাঁর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে। গুজরাট বিধানসভার আগে গুজরাটের কংগ্রেস নেতা তথা ভাদগামের বিধায়ক জিগনেশ মেভানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, 'শিল্পপতি কি ওনার ভাইপো, ভয় পাচ্ছেন কেন', এজেন্সি ইস্যুতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর