আর দরকার নেই লক্ষ্মীর ভান্ডার! এবার প্রতি সপ্তাহে মহিলারা পাবেন ৩ হাজার টাকা
- FB
- TW
- Linkdin
নতুন প্রকল্পে মহিলারা প্রতি সপ্তাহে পাবেন ৩ হাজার টাকা! অবাক হচ্ছেন! এই টাকা পাবার জন্য কি কি করতে হবে এবং মহিলারা ছাড়াও গোটা দেশ সমগ্র ভারতবাসী কিভাবে এই প্রকল্প দ্বারা উপকৃত হবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রইল আজকের প্রতিবেদনে।
মহিলাদেরকে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে ঠিকই, কিন্তু তা শুধু শুধু নয়। কাজের বিনিময়ে পাওয়া যাবে এই টাকা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন একটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রকল্পের নাম অমৃত যোজনা। কথায় আছে জলই জীবন। অথচ জলের প্রয়োজনীয়তা জানা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত জল অপচয় করে থাকি আমরা।
তাই মানুষের জীবনে জলের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্য চালু করা হয়েছে নতুন এই প্রকল্প। জলের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে সারা ভারত জুড়ে একাধিক এলাকায় বহু বাড়িতে জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে, আর এই প্রকল্পকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজন একাধিক মহিলা কর্মী।
অমৃত যোজনার সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি বিষয় পাকাপোক্ত করা প্রয়োজন। ১. জল সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় হ্রদ, পুকুর তৈরি করা এবং দ্বিতীয়ত, জনসাধারণকে জলের অপচয় এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করা।
২ টি ক্ষেত্রে একাধিক মহিলাকে নিয়োগ করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করাই হোক বা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পুকুর বা হ্রদ তৈরি করার কাজ হোক সব ক্ষেত্রেই যুক্ত হতে পারবেন মহিলারা।
কিন্তু এই ধরনের কাজ করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এই মুহূর্তে সেই ব্যবস্থাই করেছে রাজ্য সরকার আর প্রশিক্ষণ নেবার জন্যই মহিলাদেরকে দেওয়া হবে ৩০০০ টাকা।
মহিলারা এই টাকাটা পাবেন মাসিক হারে নয়, সাপ্তাহিকহারে। অর্থাৎ প্রতি ৭ দিন অন্তর প্রশিক্ষণরত মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে ৩ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটি কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নেওয়া হয়নি।
প্রকল্পটি চালু হয়েছে উত্তর প্রদেশে। সেখানকার বর্তমান রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছেন। দুস্থ মহিলাদের জন্য ভাতা নয় বরঞ্চ তাদের কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগ সফলভাবে সম্পন্ন হলে সারা বিশ্বের মহিলা মহলে হইচই পড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন এই প্রকল্পটির মাধ্যমে শুধু যে মহিলারা উপকৃত হচ্ছেন তা কিন্তু নয়, উপকৃত হচ্ছে সমগ্র উত্তর প্রদেশ। বাড়িতে জলের ব্যবস্থা চালু হলে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ উপকৃত হবেন। মানুষকে সচেতন করার দায়িত্বে রয়েছে মহিলারা।