সংক্ষিপ্ত
- হাতের আঙুলের সংখ্যা ১২, পায়ের আঙুল ২০টি
- এভাবেই জন্মেছিলেন ওড়িশার গঞ্জম জেলার এক মহিলা
- গ্রামবাসী তাঁকে 'ডাইনি' তকমা দেয়
- সারাজীবন একেবারে একঘরে হয়ে কাটাতে হচ্ছে তাঁকে
হাতের আঙুলের সংখ্যা ১২, পায়ে ২০টি। সঙ্গী দারিদ্র। এই তার 'দোষ'। আর এই দোষেই ওড়িশার গঞ্জম জেলার ৬৩ বছরের নয়ক কুমারীকে 'ডাইনি বুড়ি' হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে গ্রামের এক প্রান্তে স্থান হয়েছে তাঁর। তাঁর সঙ্গে কেউ কথাও বলে না, এমনকি বাড়ির বাইরে কখনও দেখলে ভয়ে পালিয়ে যায় গ্রামবাসীরা। তাই ৬৩ বছর বয়সে এসেও একেবারে একলা, একাকি দিন কাটে তাঁর।
আরও পড়ুন - ফলে গেল ফকিরের বাণী, ৫০ বছর পর ফিরে এলেন কবর থেকে হারিয়ে যাওয়া 'মৃত স্বামী'
নয়ক কুমারী জানিয়েছেন, জন্ম থেকেই তাঁর হাত ও পায়ে ওই বিকৃতি রয়েছে। আঙুলের সংখ্যা বেশি। আর সেই সময় থেকেই তাঁর উপর 'ডাইনি' তকমা লাগিয়ে দিয়েছে তাঁর প্রতিবেশিরা। ফলে ছোট থেকে একেবারে একলাই জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। বিয়ে-সাদি তো অনেক দূরের কথা।
আরও পড়ুন - 'নিরাময় গাছ'এর জাদু-ছোঁয়া পেতে দুই মাসে ভিড় আড়াই লক্ষ, পুলিশ ছুঁতেই ঘটে গেল ধুন্ধুমার
তিনি জানেন চিকিৎসা করলে তাঁর এই শারীরিক গলদ দূর হতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত দরীদ্র পরিবারে জন্ম তাঁর। কাজেই ডাইনি তকমা ঘোচাতে চিকিৎসার ব্যয় বহন করাও তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই গ্রামের লোকেদের চক্ষুশূল হওয়ার থেকে বেশিরভাগ সময় জানলা দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভিতরেই থাকতে পছন্দ করেন তিনি।
দেখুন ভিডিও - পায়ে ২০ আর হাতে ১২টা আঙ্গুল, ওড়িশার জীবন্ত বিস্ময় নয়ক কুমারী
নয়ক কুমারীর সব প্রতিবেশীই যে তাঁকে ডাইনি মনে করেন তা নয়। গ্রামেরই একজন জানিয়েছন, তাঁদের গ্রাম খুব ছোট একটা গ্রাম। বেশিরভাগ মানুষই কুসংস্কারের দাস। আর সেই কুসংস্কারের বশবর্তী হয়েই সাধারণের বাইরে কোনও কিছু দেখলেই তারা ভয় পায়। সেই কারণেই নয়ক কুমারীকে একঘরে করে রেখেছে গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন - চুটিয়ে গাঁজা টানলেই বেসরকারি সংস্থায় মাসে মাসে মিলবে ২ লাখ, তবে শর্তসাপেক্ষে
চিকিৎসকরা কিন্তু বলছেন, এটা একটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। প্রতি পাঁচ হাজার জনে অন্তত দুইজনের শরীরে অতিরিক্ত আঙুল দেখা যায়। তাঁরা মনে করিয়ে দিয়েছেন এমনকী বলিউড সুপারস্টার ঋত্বিক রোশনের বাঁহাতে একটি অতিরিক্ত আঙুল রয়েছে। একে বিজ্ঞানের পরিভাষায় 'পলিড্যাক্টাইলি' বলা হয়। তবে নয়ক কুমারির মতো অতগুলি অতিরিক্ত আঙুল কিন্তু বেশ বিরল ঘটনা।
আরও পড়ুন - ১০৫ বছর বয়সে বসলেন ক্লাস ফোরের পরীক্ষায়, ভাগীরথী আম্মাই শিক্ষার অনুপ্রেরণা