সংক্ষিপ্ত

নোটবন্দির এই ভরাডুবির পর এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কারা ছিলেন ?-এপ্রশ্ন তুলে প্রায় ৫০ টি মামলা দায়ের হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে।আগামী ২ রা জানুয়ারী এই মামলাগুলোর রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।

৬ বছর আগে যে নোটবন্দি ঘটেছিলো গোটা দেশ জুড়ে তার বিপক্ষে প্রশ্ন উঠেছিল অনেক। নোটবন্দির এই ভরাডুবির পর এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কারা ছিলেন ? তারা দেশের মানুষের কথা একবারও না ভেবে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ? এপ্রশ্ন তুলে প্রায় ৫০ টি মামলা দায়ের হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই চলেছে এই মামলাগুলোর শুনানি। তবে ২ রা জানুয়ারী এই মামলাগুলোর চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। বিচাপতি আবদুল নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এখন এই বিষয় কি রায় দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে এখন গোটা দেশ।

জানা গেছে ৩ রা জানুয়ারী বিচারপতি নাজির অবসর নেবেন শীর্ষ আদালত থেকে। অবসর নেওয়ার ঠিক আগের দিন এই নোটবন্দির রায় তিনি কি বলবেন সে নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।নাজির ছাড়াও এই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে আর যারা যারা ছিলেন তারা হলেন বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি সুব্রহ্মণ্যম এবং বিচারপতি বিভি নাগারত্ন। গত ৭ ই ডিসেম্বর এর চূড়ান্ত রায় শোনানোর দিন হিসেবে ঘোষণা করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা মুলতুবি হয়। এবং তার বদলে ২ রা জানুয়ারী চূড়ান্ত রায় ঘোষণার কথা বলে শীর্ষ আদালত। তবে চূড়ান্ত শুনানির আগে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাংককে নোট বাতিল সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দ্রুত আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

৬ বছর আগে ২০১৬ সালে আচমকা ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তবে কেন্দ্র কিছুদিন আগে বলেন যে নোট বাতিল শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একার সিদ্ধান্ত নয়। রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে সবিস্তারে আলোচনার পরই ৬ বছর আগের ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার।এমনকি নোট বাতিলের মাধ্যমে জাল নোট, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত, কালো টাকা এবং কর ফাঁকি ইত্যাদি বিষয়গুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আনা যাবে -এমন যুক্তি দেখিয়েই সেসময় জারি করা হয়েছিল নোটবন্দি। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের একাংশের দাবি যে এই পদক্ষেপ কোনো পরিবর্তনই আনতে পারেনি দেশের অর্থনীতিতে। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় মামলা। এবার সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দেয় সেদিকেই তাকিয়ে দেশ।