সংক্ষিপ্ত

রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেছিলেন যে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে জাতীয় আন্দোলন ভারতের আদর্শকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিল। তিনি বলেন “এই কয়েক দশকের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ আমাদেরকে আরোপিত মূল্যবোধ ও সংকীর্ণ বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেছে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার প্রথম ভাষণে, দেশের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে, দ্রৌপদী মুর্মু আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগ, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PMGKAY) এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানের জন্য কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেছিলেন যে এই জাতীয় উদ্যোগগুলি বিশ্ব মঞ্চে ভারতকে নতুন সম্মানের সঙ্গে উন্নীত করে। তিনি এই বিষয়ে গ্রুপ অফ টুয়েন্টি (G20) প্রেসিডেন্সিকে একটি সুযোগ হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন, গণতন্ত্র এবং বহুপাক্ষিকতা প্রচারের জন্য এটি বিশেষ মঞ্চ। G20 বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব করে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেছিলেন যে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে জাতীয় আন্দোলন ভারতের আদর্শকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিল। তিনি বলেন “এই কয়েক দশকের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ আমাদেরকে শুধু ঔপনিবেশিক শাসন থেকে নয়, আরোপিত মূল্যবোধ ও সংকীর্ণ বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও মুক্তি পেতে সাহায্য করেছে। বিপ্লবী এবং সংস্কারকরা আমাদের শান্তি, ভ্রাতৃত্ব এবং সাম্যের প্রাচীন মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করার জন্য স্বপ্নদর্শী এবং আদর্শবাদীদের সাথে হাত মিলিয়েছেন”।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের কাছে গোটা দেশ সবসময় ঋণী থাকবে। ভারতের সংবিধান অন্য অনেক দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে বলেও মন্তব্য তাঁর। তিনি জানান, ভারত দরিদ্র এবং নিরক্ষর জাতির মর্যাদা থেকে বিশ্বমঞ্চে একটি আত্মবিশ্বাসী দেশ হিসাবে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে সংবিধান-প্রনেতাদের কথা বলছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁদের দিন নির্দেশনার জন্যেই ভারতের এহেন উন্নতি বলেও মত।

এদিন তিনি বলেন ধর্ম এবং ভাষার ভিন্নতা আমাদের বিভক্ত করেনি, ঐক্যবদ্ধ করেছে। আর সেই কারণেই ভারত গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসাবে সাফল্য পেয়েছে। এছাড়াও অর্থনীতি বিষয়ক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন গত বছর ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার বৈশ্বিক পটভূমিতে ভারত এই সাফল্য অর্জন করেছে। দক্ষ নেতৃত্ব এবং কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা দ্রুত মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছি এবং আমাদের উন্নয়নের যাত্রা ফের শুরু হয়েছে। দরিদ্র এবং অশিক্ষিত দেশ থেকে ভারত এখন বিশ্বমঞ্চে এক আত্মবিশ্বাসী দেশে পরিণত হয়েছে।

মুর্মু জানান দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতিগুলির অন্যতম ভারত। সরকারের সময়মত হস্তক্ষেপের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগ, ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে মানুষের মধ্যে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতা এখন আর নিছক স্লোগান নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই ক্ষেত্রে আমাদর ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। নিসন্দেহে মহিলারাই আগামী দিনে ভারত গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেবে।