সংক্ষিপ্ত

তেলাঙ্গনায় অপারেশন লোটাসের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ কেসিআর-এর। যদিও বিজেপি অভিযোগ মানতে নারাজ। তবে পুলিশের দাবি ২৫০ কোটি সমেত ধরা হয়েছে তিন জনকে। 
 

বিজেপির নতুন লক্ষ্য কি তেলাঙ্গনা? এই প্রশ্নটাই আবার বড় করে দেখা দিল বুধবার মধ্যরাতে তেলাঙ্গনা পুলিশের অভিযানের পর।  কারণ বুধবার মধ্যরাতে তেলাঙ্গনা পুলিশ হায়দরাবাদের একটি ফার্ম হাউসে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশে অভিযোগ তিন জনই বিধায়ক কেনাবেচার  চেষ্ট করছিল বা টিআরএস-এর বিধায়কদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছিল। মুনুগোদ উপনির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে রাজ্যের দুই প্রতিরক্ষ রাজনৈতিক দল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, তিন বিধায়ক গুভালা বালারাজু, বি হর্ষবর্ধন রেড্ডি, রেগা কান্তরাও ও পাইলট রোহিল রেড্ডি- তাঁরা নিজেরাই পুলিশকে জানিয়েছে তাঁকে টাকার প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। ফার্ম হাউসের মালিক- পাইলট রোহিত রেড্ডিও এই দলে রয়েছেন। তিনি পুলিসকে চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি একটি এফআইআরও দায়ের করেছেন। বলা হয়েছে, চার বিধায়করে জন্য ২৫০ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। যদি তারা দল বদল করতে না চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে বলেও হুকমি দিয়েছিল। 

পুলিশ এই ঘটনায় যে তিনজনকে আটক করেছে তারা হল- সতীশ শর্মা ওরফে রাম চন্দ্র ভারতী, হরিয়ানার ফরিদাবাদের একজন পুরোহিত, তিরুপতীর দ্রষ্টা ডি সিমহায়াজি ও হায়দ্রাবাদের ব্যবসায়ী নন্দকুমার। এরা সকলেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলে তেলাঙ্গনা পুলিশের দাবি। 

তেলাঙ্গনা পুলিশের প্রধান স্টিফেন রভেন্দ্র জানিয়েছেন, বিধায়কা পুলিশকে ফোন করে নিজেরাই দল বদল করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে এই কথা জানিয়েছিল। পাশাপাশি বিধায়করা জানিয়েছিল তাদের মোটা অঙ্কের টাকাও দেওয়া হয়েছে। এই খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালায়। তিন জনকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। 

রোহিত রেড্ডি যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে বলা হয়েছে, রেড্ডিকে ১০০ কোটি ও বাকি তিন বিধায়ককে ৫০ কোটি করে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি বলা হয়েছে, যদি তারা তাতে রাজি না হয় তাহলে তিন জনের বিরুদ্ধেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সিবিআই, অভিযান চালাবে। টিআরএস পার্টির নেতৃত্বাধীন তেলাঙ্গনা সরকার ফেলে দেওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য। 

টিআরএস পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত তিন জনের সঙ্গে বিজেপির নেতাদের ছবি দেখা গেছে। যদিও গোটা ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোটা ঘটনাই কে চন্দ্রশেখর রাও বা কেসিআর-এর তৈরি করা চিত্রনাট্য। এই ঘটনায় দায়ি কেসিআর ও তাঁর দল। পাশাপাশি তেলাঙ্গনার থেকে আসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কিষাণ রেড্ডি প্রশ্ন তুলেছেন, কে ১০০ কোটি টাকা প্রস্তাব দিয়েছে? উত্তরে নিজেই বলেছেন কেসিআর বা টিআরএস - এই ঘটনায় কোনও বিজেপি নেতার নাম সরাসরি উত্থাপন করতে পারছে না। 

মেয়ে প্রেমে পড়ায় চরিত্র খারাপ, এই কারণে পরিবারের মান বাঁচাতে কিশোরীকে কুপিয়ে খুন করল বাবা

বদলে যাচ্ছে রাজ্য-রাজভবন সমীকরণ? রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চেন্নাই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

মমতা-অমিত শাহ দূরত্ব বাড়ছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা 'চিন্তন শিবিরে' যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী