Operation Sindoor: পাকিস্তানে ভারতের রাফাল, স্ক্যাল্প ও হ্যামার আক্রমণ
অপারেশন সিন্দুরে ভারত পাকিস্তানের নয়টি সন্ত্রাস ঘাঁটি ধ্বংস করতে রাফাল জেট থেকে স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার নির্ভুল বোমা ব্যবহার করেছে। এই উচ্চ-প্রযুক্তির অস্ত্রগুলি সন্ত্রাসের ঘাঁটিগুলিকে নির্ভুলভাবে তাক করতে সক্ষম হয়েছে।
পাকিস্তানে ভারতের নির্ভুল আঘাত
পাহলগাম সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর প্রতিশোধে, ভারত পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে 'অপারেশন সিন্দুর' চালিয়েছে। ২০১৯ সালের বালাকোট হামলার মতো মিরাজ ২০০০ নয়, এবার রাফাল জেট, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে।
লক্ষ্য কী ছিল?
ভারতীয় মিসাইল পাকিস্তানের নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে, যার মধ্যে রয়েছে জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটি বাহাওয়ালপুর এবং লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি মুরিদকে। বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি ধ্বংস করাই ছিল লক্ষ্য।
রাফালে, স্ক্যাল্প আর হ্যামার কেন?
স্ক্যাল্প, যা স্টর্ম শ্যাডো নামেও পরিচিত, একটি দীর্ঘ-পাল্লার, বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্রুজ মিসাইল যার পাল্লা প্রায় ৪৫০ কিমি। এটি সব আবহাওয়ায় এবং রাতেও কাজ করতে পারে। মিসাইলটি GPS, INS এবং টেরেইন ম্যাচিংয়ের মতো উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করে। এটি রাডার এড়াতে নিচু দিয়ে উড়ে এবং ৪৫০ কেজি ওয়ারহেড বহন করে।
হ্যামার নির্ভুলভাবে আঘাত করে
HAMMER (Highly Agile Modular Munition Extended Range) একটি গ্লাইড বোমা যা দুর্গম লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য তৈরি। এর পাল্লা ৭০ কিমি পর্যন্ত এবং এতে বিভিন্ন ওজনের (২৫০, ৫০০, বা ১,০০০ কেজি) স্ট্যান্ডার্ড বোমা লাগানো যায়। ফ্রান্সের Safran দ্বারা নির্মিত, বোমাটি জ্যামিং প্রতিরোধী।
অপারেশন সিন্দুর কে পরিচালনা করেছিল?
ভারতীয় বিমান বাহিনী মিসাইল ও বিমান হামলার নেতৃত্ব দিলেও সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এটি ছিল একটি সমন্বিত ত্রি-বাহিনীর প্রতিক্রিয়া।
ভারত ও পাকিস্তানের জন্য এর অর্থ কী?
ভারতের হামলাগুলি সতর্কতার সাথে পরিমাপ করা হয়েছিল—পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সাথে উত্তেজনা এড়াতে। রাফালের আধুনিক অস্ত্রের নির্ভুলতা ভারতকে ন্যূনতম ঝুঁকিতে উচ্চ প্রভাব অর্জন করতে সাহায্য করেছে।
অপারেশন সিন্দুর এবং ভারতীয় সামরিক সক্ষমতা
অপারেশন সিন্দুর ভারতীয় সামরিক শক্তির একটি নতুন স্তর প্রদর্শন করেছে—আধুনিক, নির্ভুল এবং কৌশলগত।
