Operation Sindoor LIVE Updates: ভারত যোগ্য জবাব দিতে পারে। পাকিস্তান হারে হারে টের পাচ্ছে সেটা।

Operation Sindoor LIVE Updates: মাত্র ১৫ দিন। হ্যাঁ, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় প্রত্যাঘাত হানল ভারত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালানো তিনটি জঙ্গিগোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত এলাকাগুলি পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করা হয়েছে (operation sindoor india)।

Scroll to load tweet…

রীতিমতো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলা চলে। মঙ্গলবার, মাঝরাতে মোট ৯টি জায়গায় আক্রমণ চালিয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী (sindoor operation)। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য এই ৯টি জায়গাকেই নির্বাচন করে দিয়েছিল ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘RAW’।

আর সেই অনুযায়ী, কোথায় কোথায় কোন বাহিনী আক্রমণ শানাবে, তা ম্যাপিং করা হয়েছিল। এরপর দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনাকে (has india attacked pakistan)।

Scroll to load tweet…

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, জল, স্থল এবং আকাশপথে হামলা চালানোর জন্য একইসঙ্গে ভারত ছিল যথেষ্ট সাবধান এবং সতর্ক। কারণ, কোনও সাধারণ নাগরিকের যেন ক্ষতি না হয়., কিন্তু জঙ্গিঘাঁটি যেন ধ্বংস হয়। সবথেকে বড় বিষয়, সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু ছিল জঙ্গি এবং জঙ্গিঘাঁটি। অর্থাৎ, স্মার্ট ওয়ার্ক করেছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর এই হামলায় নিকেশ হয়েছে একাধিক জঙ্গি, অঙ্গিঘাঁটি এবং কুখ্যাত মাসুদ আজহারের গোটা পরিবার (masood azhar)। 

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান অধ্যুষিত পাঞ্জাব প্রদেশের বহাওয়ালপুরের উপকণ্ঠে এনএইচ-৫ যে জায়গার উপর দিয়ে গেছে, সেখানে প্রায় ১৫ একর জমি জুড়ে জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর প্রধান প্রশিক্ষণ এবং প্রচারকেন্দ্র।

শোনা যায়, এটিই জইশের হেডকোয়ার্টার। গত ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় যুক্ত ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শহর মুরিদকে হল আবার লস্কর-ই তৈবার প্রধান এলাকা।

Scroll to load tweet…

গত ২০০৮ সালে, মুম্বই হামলায় মূলচক্রী হাফিজ় সইদ এইখানেই থাকত। মঙ্গলবার রাতে, সেখানেও হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা।

গোয়েন্দা সূত্রে এও জানা গেছে, যে ৯টি জায়গায় ভারতীয় সেনা প্রত্যাঘাত চালিয়েছে, তার চারটি জায়গা পাকিস্তানের মধ্যে এবং পাঁচটি জায়গা পাক অধিকৃত কাশ্মীর এলাকায়। বহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট, মূলত এই তিনটি জায়গাই ছিল সেনাদের টার্গেট।

তাছাড়া মুজফ্ফরাবাদ, গুলপুর, ভীমবের, চাক আমরু, বাগ এবং কোটলিও তালিকায় ছিল। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, একাধিক টেকনোলজিকে ব্যবহার করে এবং সূত্রগুলিকে কাজে লাগিয়ে মোট ৯টি জায়গা চিহ্নিত করে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’।

তারপর সেই ইনপুট পাঠানো হয় দেশের সেনার কাছে। এরপরেই শুরু হয়ে যায় ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরিকল্পনা। আর শেষমেশ এল সেই মঙ্গলবার মধ্যরাত। প্রত্যাঘাত হানল ভারত। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে স্ক্যাল্প এবং হ্যামার মিসাইলের মতো বিশেষ ধরনের গোলাবারুদ। খতম জঙ্গিরা এবং তাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।