সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই চর্চায় রয়েছেন রাহুল। এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি দু’দুটি কেন্দ্র থেকেই জয়লাভ করার পরিপ্রেক্ষিতে তার কদর অনেক বেড়েছে। শুধু কদর বাড়া নয়, পাশাপাশি এখন তার ক্ষমতাও অনেকটাই বেড়ে গেল।
১০ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশ কোন বিরোধী দলনেতা পেল। কেননা ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী কোন রাজনৈতিক দলই বিরোধী দলনেতা পাওয়ার জন্য যে সংখ্যক আসন দরকার হয় তা পায়নি। কংগ্রেস বিরোধী দলনেতা হওয়ার শর্ত পূরণের থেকে ১০% সিট কম পেয়েছিল। তবে এই বছর সেসবকে অতীত করে রাহুল গান্ধী পেলেন বিরোধী দলনেতার মর্যাদা।
লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই চর্চায় রয়েছেন রাহুল। এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি দু’দুটি কেন্দ্র থেকেই জয়লাভ করার পরিপ্রেক্ষিতে তার কদর অনেক বেড়েছে। শুধু কদর বাড়া নয়, পাশাপাশি এখন তার ক্ষমতাও অনেকটাই বেড়ে গেল। তিনি এখন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদ হলেও পাবেন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মত সুবিধা।
বিরোধী দলনেতা হওয়ার দরুণ রাহুল গান্ধী পাবেন চারজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী, একজন ঝাড়ুদার, একজন কেরানি, একজন হিন্দি স্টেনো, একজন ব্যক্তিগত সচিব, দুজন সহকারী ব্যক্তিগত সচিব, সাংসদ হিসেবে বেতন পাওয়ার পাশাপাশি তিনি পাবেন আতিথেয়তা ভাতা, পাবেন নির্বাচনী ভাতা।
এছাড়াও বিরোধী দলনেতা হওয়ার কারণে রাহুল গান্ধী লোকসভায় একেবারে সামনের সারিতে জায়গা পাবেন। ডেপুটি স্পিকারের পাশেই হবে তার আসন। এছাড়াও সংসদে তিনি একটি ঘর পাবেন যেটিতে সচিবালয় সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী বিরোধী দলনেতা হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে সকল প্যানেলের সদস্য সেই সকল বেশকিছু প্যানেলের সদস্য তিনিও হবেন।
বিরোধী দলনেতা হওয়ার কারণে তার এখন মর্যাদা একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। প্রত্যেক রাজ্যের বিরোধী দল নেতারা যেমন রাজ্যের মন্ত্রীদের মতো সুবিধা পেয়ে থাকেন, ঠিক সেই রকমই রাহুল গান্ধীও দেশের বিরোধী দলনেতা হওয়ার কারণে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মত সুবিধা পাবেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।