সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপিআই, শিবসেনার নেতাদের চিঠি লিখে সোমবার সকাল ১০টা  বৈঠতে উপস্থিত হওয়ার আবেদন জানিয়েছে।

সংসদের মূলত রাজ্যসভার (Rajya Sbha) অচালাবস্থা কাটাতে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (Pralhad Joshi) সোমবার বিরোধী দলের (Opposition) নেতাদের একটি বৈঠক ডেকেছেন। যেসব রাজনৈতিক দলের রাজ্যসভার সাংসদরে সাসপেন্ড (Suspension Of 12 Rajya Sabha MPs) করা হয়েছে সেই রাজনৈতিকদলগুলিকেই মূলত আলোচনায় আসার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন তিনি। গতমাসে শীতকালীন বৈঠকের শুরুতেই রাজ্যসভার ১২ সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে রাজ্যসভায়। বিরোধী দলগুলি  একজোট হয়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপিআই, শিবসেনার নেতাদের চিঠি লিখে সোমবার সকাল ১০টা  বৈঠতে উপস্থিত হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত প্রহ্লাদ জোশীর কাছ থেকে ফোন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন প্রহ্লাদ জোশী তাঁকে চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য ডেকেছেন। আগামিকাল সকাল ১০টা সংসদের লাইব্রেরিহলে এই বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

বিরোধী দলের সূত্রে জানা গেছে, চারটি বিরোধী দলের নেতারা বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করলেনষ সোমবারই সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে সেই বৈঠক হবে বলেও সূত্রের খবর। এই বৈঠক হবে মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে। তবে বিরোধীরা স্পষ্ট করে এদিনই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যসভার ১২ সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে বিরোধীদের মূল দাবি সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে বৈঠকে ডাকতে হবে। 

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বৈঠকের কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় সরকার একটি লোকদেখানো কাজ আবার করতে চলেছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সংসদ চলতে দিতে চায় না। তারপরেই বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলার জন্য বিরোধীদের বৈঠকে ডেকেছে। তিনি বলেছেন সরকার চারটি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ডেকেছে- যাদের ১২জন সংসদে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সরকার ১০টি বিরোধী দলকে ছেড়ে দিয়েছে। তারপরই তিনি লিখেছেন আগে সাসপেনশন প্রত্যাহার করুন তারপর আলোচনা হবে। 


বাদল অধিবেশনে বিধিভঙ্গের অভিযোগে বিরোধী দলের ১২ জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই সেই ১২ সাংসদরে হিংসাত্মক আচরণের জন্য বরখাস্ত করা হয়। তারপর থেকেই বিরোধী দলগুলি অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়। তারপর থেকেই রাজ্যসভায় অচলাস্থা তৈরি হয়। কারণ বিরোধীরা ১২ সাংসদের সাসপেনশন তোলার দাবিতে সরব হয়।