সংক্ষিপ্ত

  • কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনায় পি চিদম্বরম
  • অর্থনীতির মূল সমস্যাগুলি উপেক্ষা করার অভিযোগ
  • অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম, দাবি কংগ্রেস নেতার
  • সুদীর্ঘ বাজেট বক্তৃতা নিয়েও কটাক্ষ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর


কেমন হলো এ বারের বাজেট? এই প্রশ্নের জবাবে দিতে গিয়ে দুরন্ত প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এক থেকে দশের মধ্যে তিনি নির্মলা সীতারমণের বাজেটকে কত নম্বর দেবেন? জবাবে চিদম্বরম বলেন, 'দশে দুটো সংখ্যা থাকে। ১ এবং ০। আপনাদের যেটা পছন্দ বসিয়ে নিন।'

বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করবেন, সেটা প্রত্যাশিতই। কিন্তু চিদম্বরমের এই উক্তি থেকেই পরিষ্কার, এবারের বাজেট নিয়ে ঠিক কী মনোভাব পোষণ করছেন তিনি। তাঁর দাবি, পর পর ছ'টি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার পরেও সরকার স্বীকার করছে না যে অর্থনীতি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।

আরও পড়ুন- পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও আয়কর নয়, শর্তস্বাপেক্ষে ছাড় বাড়ালেন নির্মলা

চিদম্বরম বলেন, 'এই বাজেট এমন কিছুই নেই যা থেকে বিশ্বাস করা যায় যে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। তার পরেও সরকার যে ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা বলছে তা শুধু আশ্চর্যজনই নয়, দায়িত্বজ্ঞানহীনতারও পরিচয়।' প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর কথায়, এই মুহূর্তে ভারতীয় অর্থনীতিতে যেমন চাহিদার সংকোচন ঘটেছে, সেরকমই বিনিয়োগেরও খরা চলছে।  চিদম্বরম বলেন, 'অর্থমন্ত্রী যে এই দুটো প্রধান সমস্যার কথা স্বীকারই করছেন না, সেটাই দুর্ভাগ্যের। শুধু তাই নয়, এই সমস্যা সমাধানেও তিনি কোনও পদক্ষেপও করেননি। যদি এই দু'টি চ্যালেঞ্জ থেকেই যায়, তাহলে অর্থনীতি তো ঘুরে দাঁড়াবেই না উল্টে গরিব এবং মধ্যবিত্তের স্বস্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।'

এ দিন প্রায় ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে বাজেট বক্তৃতা পেশ করেন সীতারমণ। কিন্তু তার পরেও পুরো বাজেট পড়ে উঠতে পারেননি তিনি। অসুস্থ বোধ করায় বাজেট ভাষণ শেষ করার আগেই বসে পড়েন সীতারমণ। সুদীর্ঘ বাজেট বক্তৃতা নিয়েও এ দিন সীতারমণকে কটাক্ষ করেছেন চিদম্বরম। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে কোনও অর্থমন্ত্রীর দেওয়া দীর্ঘতম বাজেট বক্তৃতা শুনলাম আমরা। প্রায় ১৬০ মিনিট ধরে বাজেট পড়েছেন অর্থমন্ত্রী। এত লম্বা বাজেট বক্তৃতা শুনে আমার মতো যদি আপনারাও ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে আমি আপনাদের দোষ দেব না।'