Pahalgam Terror Attack: যতই সময় এগোচ্ছে, ততই যেন ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর, একটি ভিডিও এবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যাচাই করেনি।
Pahalgam Terror Attack: এক মহিলা পর্যটকের দাবি, পহেলগাঁওতে ঘোড়ার এক সহিস নাকি তাদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আর তারপরেই শুক্রবার এক সহিসকে আটক করেছে গান্দেরবাল পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁকে জেরা করা শুরু হয়ে গেছে।
তবে সেই মহিলা যে সহিসের বিরুদ্ধে ঐ ভিডিওতে অভিযোগ করেছেন, ধৃত ব্যক্তি আসলে তিনিই কি না, তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
গান্দেরবাল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত সহিসের নাম হল আইয়াজ় আহমেদ জুঙ্গাল। তাঁর বাবার নাম নবি জুঙ্গাল। তিনি গান্দেরবালের গোহিপোড়া রাইজ়ানের বাসিন্দা।
সোনমার্গের থাজওয়াস হিমবাহে পর্যটকদের খচ্চরের সওয়ারি করে থাকেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই আইয়াজ়ের সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার কোনও যোগ রয়েছে কি না এবং মহিলা যে সহিসের কথা বলেছেন, ধৃত তিনিই কি না, তা এখন মূলত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত চারজনের জনের স্কেচ প্রকাশ করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেই স্কেচ দেখার পর, একতা তিওয়ারি নামে এক মহিলা পর্যটক দাবি করেছেন, ওই তিন জনের মধ্যে নাকি একজনের সঙ্গে গত ২০ এপ্রিল তাঁর দেখা হয়েছিল পহেলগাঁওতেই।
একতা উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে কাশ্মীরে ঘুরে গেছিলেন। তারা গেছিলেন ২০ জনের একটি দলের সঙ্গে। এমনকি, নিজের মোবাইলে মেরুন জ্যাকেট এবং পাজামা পরা এক ব্যক্তির ছবিও দেখান তিনি। একতার দাবি, ওই ব্যক্তিই পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত।
শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ম নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন বলেও দাবি একতার। সেইসঙ্গে, তিনি আরও জানিয়েছেন, বৈসরন উপত্যকাতেই ওই ব্যক্তির ছবি তুলেছেন তিনি। তবে তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গেছিলেন তখন।
সেই ভিডিওতে একতা আরও দাবি করেন যে, তাঁর বন্ধুরাও নাকি ওই ব্যক্তিকে চিনতে পেরেছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে একতা জানিয়েছেন, ওই সহিস তাঁকে তাঁর নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞাসা করেছিলেন। এমনকি, তিনি এও জিজ্ঞাসা করেন যে, একতা কখনও অজমের শরিফ বা অমরনাথ গেছেন কিনা। তাঁর ঠিক কতজন হিন্দু বা মুসলিম বন্ধু রয়েছেন?
একতার দাবি, তিনি জবাবে জানিয়েছিলেন, উর্দু পড়তে তিনি পারেন না। তাই কোরান পড়া হয়নি তাঁর। তখন সেই সহিস বলেন, হিন্দিতে লেখা কোরানও নাকি পাওয়া যায়। ঠিক তারপরেই সহিসের কাছে একটি ফোন এসেছিল বলে জানিয়েছিলেন সাহসী একতা। সেই ফোনে তাঁকে বলতে শোনেন যে, “প্ল্যান এ ব্রেক ফেল। প্ল্যান-বি ৩৫ বন্দুক পাঠানো হয়েছে। উপত্যকার ঘাসে রয়েছে।”
কিন্তু যখন সেই সহিস বুঝতে পারেন একতা তাঁর কথা শুনছেন, তখন অন্য ভাষায় তিনি কথা বলতে শুরু করে দেন। এমনটাই জানিয়েছেন একতা। সেই মহিলা আরও দাবি করেছেন, কথা শুনে ওই সহিসকে পাকিস্তানি বলে মনে হয়েছিল তাঁর।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, এইসব শোনার পরেও পুলিশকে কেন জানাননি তিনি? একতার দাবি, পর্যটকদের বুথে কোনও লোক ছিল না। এমনকি, পহেলগাঁওয়ের ৭-৮ কিলোমিটার আগে একটি চেকপোস্ট ছিল। তিনি যখন ফিরছিলেন, তখন সেই চেকপোস্টেও কেউ ছিলেন না। কিন্তু একতা বারবার দাবি করেছেন, পুলিশ যে তিনজনের স্কেচ প্রকাশ করেছেন, তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল পহেলগাঁওতেই। আপাতত জেরা শুরু হয়েছে আইয়াজ়ের।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

