- Home
- India News
- Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও-তে শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অমিত শাহ, ভাইরাল ছবি
Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও-তে শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অমিত শাহ, ভাইরাল ছবি
ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাথে দেখা করে সান্ত্বনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সন্ত্রাসবাদীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ভারত সন্ত্রাসবাদের সামনে মাথা নত করবে না, দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না।”

পহেলগাঁও হামলা: ২৬ জনের মৃত্যুতে স্তব্ধ দেশ
দক্ষিণ কাশ্মীরের শান্ত পর্যটন স্থল মঙ্গলবার গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে। সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি। যে উপত্যকা পর্যটকদের হাসিখুশিতে মুখরিত থাকত, সেখানে এখন শোকের ছায়া।
পর্যটকরা শিকার, বিধ্বস্ত পরিবার
যারা পহেলগাঁও-তে ভ্রমণের জন্য এসেছিলেন, তারা কেউ জানতেন না যে তারা আর কখনও বাড়ি ফিরে যাবেন না। মৃতদের মধ্যে অনেক শিশু ও মহিলা রয়েছেন।
অমিত শাহর চোখেও জল
হামলার পরদিনই শ্রীনগরে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আহতদের সাথে দেখা করার সময় তাঁর চোখেও জল দেখা যায়। তিনি প্রতিটি পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
“ভারত সন্ত্রাসের সামনে মাথা নত করবে না”
অমিত শাহ বলেন – “যারা নিরীহদের হত্যা করে, তাদের জন্য ভারতে কোনও জায়গা নেই। প্রতিটি সন্ত্রাসবাদীকে খুঁজে খুঁজে ধ্বংস করা হবে।” তাঁর কণ্ঠে ছিল ক্রোধ, ছিল প্রতিজ্ঞা।
শোকের ছায়া
হাসপাতালের করিডোরে শুধুই কান্নার আওয়াজ। একজন বাবা তার ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে কাঁদছেন। একজন মা বারবার বলছেন—"আমার ছেলে ফিরে আসুক..."
গোয়েন্দা রিপোর্ট, পর্যটকরা ছিল লক্ষ্য
রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদীরা উপত্যকার শান্তি ভঙ্গ করতে চেয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল—ভয় ছড়ানো, পর্যটন ধ্বংস করা। কিন্তু ভারত মাথা নত করবে না।
১৫ মিনিটের ব্যবধানে বেঁচে গেলেন
একজন ব্যবসায়ী বললেন—"আমরা মাত্র ১৫ মিনিট আগে ঐ রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম। ছেলেমেয়েদের জিদ আমাদের বাঁচিয়েছে, না হলে আজ আমরাও খবর হতাম।" ভাগ্য জীবন দিয়েছে, কিন্তু ভয় এখনও কায়ম।
অভিযান শুরু, প্রতিটি সন্ত্রাসীকে খোঁজা হবে
সেনাবাহিনী, CRPF এবং পুলিশ মিলে অভিযান চালাচ্ছে। লস্কর-ই-তৈবার নাম সামনে এসেছে। সুराগ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সারা দেশ চায়—তাদের শাস্তি হোক।
দেশ একতাবদ্ধ, ক্ষোভের ঢেউ
প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, প্রতিটি মোমবাতি মিছিলে একই দাবি—"শহীদদের ইনসাফ দাও"। সাধারণ মানুষ, নেতা, কর্মী—সকলেই এই ব্যথা নিজের বলে মনে করছেন।
সঙ্কল্প – সন্ত্রাসের অবসান হবে
এই হামলা আবারও প্রমাণ করে যে ভারতের লড়াই শুধু সীমান্তে নয়, হৃদয়ের ভিতরেও। এখন দেশের প্রতিটি নাগরিক চায় – এক এক সন্ত্রাসীকে নির্মূল করা হোক।

