Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সাতদিন ধরে রেইকি করে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

Pahalgam Terror Attack: এপ্রিম মে মাসে কাশ্মীরের পর্যটনের ভরা মরশুম। সারা বিশ্বের মানুষ এই কাশ্মীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজির হয়ে থাকেন। এদিকে সবেমাত্র সন্ত্রাসের আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছিল ভূস্বর্গ। সে কারণে নিশ্চিন্তে ভূস্বর্গকে উপভোগ করছিলেন পর্যটকরা। শ্রীনগরের টিউলিপ গার্ডেন থেকে ডাললেক, সোনমার্গ থেকে পহেলগাঁও- ভর্তি ছিল পর্যটকে।

কিন্তু, সেই পহেলগাঁওয়ের সবুজ সুন্দর উপত্যকার রং এখন লাল। রক্তের দাগ সর্বত্র। ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের রক্তের দাগ লেগে লস্করের ছায়া দানব দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের জেহাদিদের হাতে। ইতিমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছেন তারা। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে, টানা সাতদিন ধরে রেইকি চালিয়ে আঁটঘাঁট বেঁধে রিসর্ট জেহাদ চালাল ছায়া দানব-রা। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ করে হামলা।

জানা গিয়েছে, ১-৭ এপ্রিল রেইকি চালিয়েছিল লস্করের জঙ্গিরা। একাধিক পর্যটনস্থলের রিসর্টে রেইকি করেছিল তারা। শেষ পর্যন্ত বেছে নেয় কাশ্মীরের মিনি সুইজারল্যান্ড পহেলগাঁওর বৈসারন ভ্যালির একটি রিসর্ট। দুপুরে ৬-৭ জন জঙ্গি সেখানে জলপাই রঙের পোশাকে হাজির হয়। দু-তিনটে দলে ভাগ হয়ে ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ধর্মীয় পরিচেয় দেখে টার্গেট করে। তাতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও অনেকে।

কাশ্মীরে আইএসআই-র ছায়াযুদ্ধকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিদ্রোহ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য টিআরএফ-কে তৈরি করে পাকিস্তান। লস্কর-ই-তইবার জেহাদি ছক বাস্তায়িত রে তারা।

আবার অনেকের দাবি, করাচিতে সমাজসেবী সংগঠন হিসেবে তৈরি হয়েছিল দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। তারাই পরবর্তীতে কাশ্মীরে জেহাদি কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এই সংগঠনের মাথায় আছে সাজিদ জাট, সাজ্জাদ গুল, সালিম রেহমানিরা। সকলেই লস্করের সহযোগী। এদের সঙ্গে তেহরিক ই মিলাত ইসলামিয়া এবং ঘাজনাভি হিন্দেরও যোগ আছে। পাকিস্তানে বসে জেহাদি হামলার ছক কষা হলেও তা কাশ্মীরের মাটিতে বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব নিয়েছিল টিআরএফ। এদিনের রিসর্টের হামলায় তা বাস্তবায়িত হয়। সদ্য হামলার দায় নিয়েছে লস্করের ছায়া দানব।