সংক্ষিপ্ত
- ট্রাম্পের ভারত সফরের দিকে তাকিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা
- ভারত সফরে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা কম
- তবুও ট্রাম্পের সফরে ফায়দা হবে ভারতেরই
- মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর ঘিরে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা
এসে গেছে সেই দিন। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আহমেদাবাদে সস্ত্রীক পা রাখতে চলেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই সফর ঘিরে সাজো সাজো রব এখন গুজরাতের রাজধানীতে। কোনও ফাঁকফোকর রাখা হয়নি নিরাপত্তার। ট্রাম্পকে এদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে তাঁর যাত্রাপথের নানা জায়গায় তৈরি করা হয়েছে স্টেজ। সেখানে নেতৃগীত পরিবেশন করে চলেছেন শিল্পীরা।
সোমবার সকালেও সবরমতী আশ্রমে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে মার্কিন নিরাপত্তারক্ষীরা। ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে সোমবার সকালেই রাজধানী থেকে আহমেদাবাদে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: 'সারা দেশ অপেক্ষা করছে', 'বন্ধু' ট্রাম্পকে ট্যাগ করে জোড়া ট্যুইট মোদীর
শেষ পাওয়া খবরে ট্রাম্পের এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে না বলেই খবর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও সেই ইজ্ঞিতই দিয়েছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোড়ালো হবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। ওয়াশিংটন ডিসিতে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড অন্টারন্যাশন্যাল স্টাডিজের মার্কিন-ভারত পলিসি স্টাডিজের প্রধান রিচার্ড রসো সেই ইজ্ঞিতই দিচ্ছেন। ভারতে আসলেও প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে যাচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এটা আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটা ভারত সরকারকে অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় রাখবে বলেই মনে করছেন রসো। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তির সম্ভাবনা থাকছে এই সফরে। যা এশিয়ায় ভারতের নিরাপত্তাকে আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেবে।
ভারতে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহমেদাবাদে রোডশো ও দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের দিকে এখন তাকিয়ে রয়েছে এদেশের কূটনৈতিক মহলও।
এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এর আগে বহুবার মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত সফরে এসে এবার সেই পদক্ষেপই করুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের সফরের আগে ঠিক এমন দাবিই তোলা হয়েছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।