Pakistan Violates Ceasefire: পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তান লাগাতার ১০ দিন ধরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এর জোরদার জবাব দিয়েছে।
Pakistan Violates Ceasefire: পাকিস্তান লাগাতার ১০ দিন ধরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নৌশেরা, সুন্দরবনী এবং আখনুরের মতো বেশ কয়েকটি এলাকায় গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এর কড়া জবাব দিয়েছে।
পাকিস্তান লাগাতার ১০ দিন ধরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শনি ও রবিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের পাঁচটি জেলায় আটটি স্থানে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। যদিও, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও-এর সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ। এরপর থেকে लगातার ১০ তম রাত পাকিস্তানের তরফ থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল।
৩ এবং ৪ মে-র রাতে গুলি চালানো হয়
প্রতিরক্ষা মুখপাত্রের মতে, ৩ এবং ৪ মে-র রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কোনও উস্কানি ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি এলাকায় গুলি চালিয়েছে। এই গুলিবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে অবস্থিত পাকিস্তানি চৌকি থেকে করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা ২৪ এপ্রিল রাত থেকে শুরু হয়েছে, যখন ভারত পহেলগাঁও-এর সন্ত্রাসবাদী হামলার পর সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই পাকিস্তান এলওসি-তে গুলি চালানো শুরু করে।
নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে গুলি চালানো হয়
প্রথমে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং বারামুলা জেলায় গুলি চালানো হয়, তারপর তা ক্রমশ বেড়ে পুঞ্চ এবং জম্মু অঞ্চলের আখনুর সেক্টর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এরপর রাজৌরি জেলার সুন্দরবনী এবং নৌশেরা সেক্টরেও পাকিস্তানি সেনারা নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বেশ কয়েকটি চৌকিতে ছোটো অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়।
এদিকে, প্রকাশ্যে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় রয়েছে শতাধিক জঙ্গি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) এই রকম ৪২টি লঞ্চপ্যাডের হদিশ মিলেছে।
জানা গিয়েছে,পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দক্ষিণ পীরপঞ্জলে এই রকম ৩২টি লঞ্চপ্যাড চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও উত্তর পীরপঞ্জলে মিলেছে ১০টি জঙ্গি ঘাঁটির খবর। এই লঞ্চপ্যাডগুলিতে রয়েছে ১০০ থেকে ১৩০ জন জঙ্গি। দক্ষিণ পীরপঞ্জলে রয়েছে অন্তত ১০০ জন জঙ্গি। ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য উত্তর পীরপঞ্জলে অপেক্ষা করে রয়েছে ৩২ জন জঙ্গি।
সেনা সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরে এই লঞ্চ প্যাডগুলি থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করে আছে কয়েক শো পাক জঙ্গি (Pakistan terrorist)। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যে লঞ্চপ্যাডগুলিতে জঙ্গিরা অপেক্ষা করছে সেই জায়গাগুলি হল- দুধানিয়াল, চেলাবন্দি, ম্যাচা ফ্যাক্টরি, গড়ি দুপাট্টা, বাশ, আলিয়াবাদ আর দক্ষিণ পিরপঞ্জলের মধ্যে যে সব জায়গায় জঙ্গি-ঘাঁটি রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- রাওয়ালকোট, ডুঙ্গি, তাতাপানি, হাজিরা, কোটলি, সেনসা, পালানি, নিকিয়াল, পলক-মিরপুর, তাগোশ।
অন্যদিকে, পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী জঙ্গিরা ভারতের চেন্নাই হয়ে শ্রীলঙ্কা পালিয়ে যাওয়র মতলব আঁটছে। আরও জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে চেন্নাই থেকে শ্রীলঙ্কা (sreelanka) এয়ারলাইন্সের একটি বিমান উড়ে যায়। খবর, ওই বিমানে নাকি সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে ছয়জন জঙ্গি রয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তরফে এই সন্দেহ বার্তার কথা জানানো হয় শ্রীলঙ্কার বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে। সূত্রের খবর, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে যে ছয়জন জঙ্গি রয়েছে তারা পহেলগাঁও (Pahalgam attack) হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
জানা গিয়েছে, এরপরই দিল্লির তরফে কলম্বো বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে অ্যালার্ট দেওয়া হয়। তারপরই বিমানটিকে আলাদা একটি জায়গায় ল্যান্ড করিয়ে সকল যাত্রীদের তল্লাশি করা হয়। একই সঙ্গে চলে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ। তবে যে সকল যাত্রীদের দেখে জঙ্গি সন্দেহ হয়েছিল তারা আদেও পহলেগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত কিনা সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি কলম্বো বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এরই পাশাপাশি, বন্দর , বাণিজ্যের পর এবার এবার পাকিস্তানের মেইল আর পার্সেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত। সবমিলিয়ে পাকিস্তানকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, শনিবার ভারত বিমান ও স্থলপথে পাকিস্তান থেকে আগত সকল ধরনের মেইল এবং পার্সেল বিনিময় স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রকের ডাক বিভাগের এই বিবৃতিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্যও একটি পোস্ট করে এই সিদ্ধন্তের কথা জনিয়েছেন।


