সংক্ষিপ্ত
জানা গেছে, গুপ্তচরের হ্যান্ডলার ভারতে বসেই প্রথম যোগাযোগ করে শাকিলের সঙ্গে। নয়ডায় তাঁর শেষ উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
উত্তর পূর্ব ভারত ও উত্তরবঙ্গের একটা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন আইএসআই-এর নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে, বেশ কয়েক মাস যাবৎ এমনই তথ্য পাচ্ছিলেন ভারতের একাধিক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। সেই সূত্র ধরেই উঠে আসে শিলিগুড়িতে বসবাসকারী গুড্ডু কুমারের নাম। তদন্ত করে খোলসা হয় যে, এই গুড্ডুর মূল কাজ ছিল শিলিগুড়ি ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে থাকা সেনা ছাউনিতে বসবাসকারী সেনাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকেই কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনকে জানানো হয়, গুড্ডু কুমার নামে এক ব্যক্তি ভারতীয় সেনার তথ্য পাচার করার কাজ করছেন। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ তদন্ত করে জানতে পারে, শিলিগুড়িতেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে থাকতে শুরু করেছে গুড্ডু কুমার। এলাকায় টোটো চালাত সে। স্থানীয় বাচ্চাদের সাথে তার বনিবনা ছিল বেশ ভালোই। এমনকি, বাড়ির মালিকের সন্তানকে সে পড়াশোনাও করাতো। শিলিগুড়ি থেকেই বুধবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ বাহিনী। জানা যায়, তাঁর আসল নাম মহম্মদ শাকিল।
শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বেশ কয়েকটি প্রি অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এই সিম কার্ডগুলো কাজে লাগিয়ে ভারতীয় মোবাইল নম্বরের আড়ালে আদতে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে বিহার পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। মহম্মদ সাকিল ওরফে গুড্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতীয় সেনার তথ্য পাচার করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বিহারের মতিহারির একটি কলেজে অঙ্ক নিয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিলেন মহম্মদ শাকিল। কলেজ শেষ না করেই শাকিল দিল্লি চলে যান বলে জানতে পারে এসটিএফ। বিহার থেকে দিল্লিতে শ্রমিক নিয়ে যাওয়াই নাকি ছিল শাকিলের কাজ। লকডাউনের সময়ে বিহারে ফিরে যান তিনি। কাজ হারানোর পরই তাঁর সঙ্গে প্রথম পাক গুপ্তচর নেটওয়ার্কে যোগাযোগ হয় বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
জেরায় গুড্ডু আরও বলেন, ডেটিং সাইটের মাধ্যমে প্রথম যোগাযোগ হয় পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে। ডেটিং সাইট থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন শাকিল। সেখানেই তাঁকে প্রথম চরবৃত্তি করার জন্য জঙ্গিরা টোপ দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই কাজ করতেই নাকি শিলিগুড়িতে থাকতে শুরু করেন শাকিল। জানা গেছে, গুড্ডুর হ্যান্ডলার ভারতে বসেই প্রথম যোগাযোগ করে শাকিলের সঙ্গে। নয়ডায় তাঁর শেষ উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। শাকিল তাঁকে তিনটি ভিডিয়ো পাঠিয়েছিলেন, এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন-
হলদিয়ায় শ্রমিক কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে ঋতব্রতর নাম ঘোষণা করলেন কুণাল, পুলিশের উদ্দেশে দিলেন হুঁশিয়ারি
পুরুলিয়ায় আবাস যোজনা নিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দায়ী করলেন কেন্দ্র সরকারের বিলম্বকেই
বড়দিন রবিবারে পড়লেও কলকাতার মেট্রো পরিষেবায় খামতি নয়, জেনে নিন নতুন সময়সূচীর তালিকা
২০২১-এর বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় করেছিলেন ৪ লক্ষ মানুষ, ২০২২-এ আগে থেকেই ভিড় ঠেকানোর প্রস্তুতি পুলিশ মহলে