সংক্ষিপ্ত

সীমা হায়দার ভারতের থাকার অনুমতি চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। সেখানেই তিনি বলেছেন, ভারতের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

 

পাকিস্তানের নাগরিক সীমা হায়দার এবার ভারতের নাগরিকত্ব চেয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি লিখেছেন। তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছেন। তেমনই জানিয়েছে একটি সূত্র। সীমা হায়দারের এই পদক্ষেপে তাঁকে নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। কারণ প্রেমিকের টানে চার সন্তান নিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে এই দেশে এসেছে। প্রেমিক শচীন মীনার সঙ্গে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেছে। তবে সীমা হায়দারকে নিয়ে স্বস্তিতে নেই উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

সূত্রের খবর , সীমা হায়দার ভারতের থাকার অনুমতি চেয়েছেন। সেখানেই তিনি বলেছেন, ভারতের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আর সেই কারণে তিনি আর পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান না। এই দেশেই পাকাপাকিভাবে থেকে যেতে চান। সীমা হায়দার এমনই সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছেন যখন তাঁকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর তোড়জো়ড় চলছে।

২০২০ সালে পাবজি খেলতে গিয়ে সীমা হায়দারের সঙ্গে আলাপ হয় শচীন মীনার । সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। তারপর হোয়াটঅ্যাপে তাঁরা নিময়িত কথাবার্তা বলতেন। বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি। চলতি বছর মার্চ মাসে শচীন মীনার সঙ্গে এক সপ্তাহ কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে কাটিয়েছেন সীমা হায়দার। তারও দুই মাসস পরে করাচি , দুবাই, নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন সীমা হায়দার। তদন্তকারীদের প্রশ্ন সীমার গতিবিধি কখনই সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। কিন্তু তারপরেও তাঁর গতিবিধি নিয়ে তাঁর স্বামী কেনও কোনও প্রশ্ন তোলেনি।

এদেশে এসেও সীমা হায়দার প্রথমে শচীনের সঙ্গে লক্ষ্মৌতে যান। সেখান থেকে আগ্রা হয়ে তারপর গ্রেটান নয়ডায় থিথু হয় তারা। সীমা হায়দার চারটি মোবাইল ফোন আর পাঁচটি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে এই দেশে ঢুকেছিল। যা ভাবাচ্ছে উত্তর প্রদেশ এটিএসকে। তদন্তকারীদের অনুমান সীমার সঙ্গে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী আর পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার গভীর যোগাযোগ রয়েছে।

৪ জুলাই সীমা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সীমাকে বেআইনিভাবে সীমান্ত পার হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রেমিক শচীন মীনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সীমাকে সাহায্য করার জন্য। তাদের ৭ জুলাই জামিন দিয়েছিল আদালত। তবে কতগুলি শর্ত আরোপ করেছিল। অন্যদিকে সোমবারই সীমার প্রেমিক শচীন মীনা ও তার বাবাকে দীর্ঘ সময় ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। দিন কয়েক আগে সীমার প্রেমিক শচীন মীনা ও তার বাবাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে একটি গোপন জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।